চট্টগ্রাম সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির চেষ্টা এবং ল্যাপটপ গায়েব করার ঘটনায় গ্রেফতার চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের পিয়নসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা বাদী হয়ে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন। কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন জানান, মামলায় ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তার অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন, তার দুই সহযোগী বিজয় দাস ও তার বোন সীমা দাশ ছাড়াও আরও দুজনকে আসামি করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং নির্বাচন কমিশন আইনে মামলাটি করা হয়েছে বলে জানান ওসি। গ্রেফতার তিনজনের বাইরে অন্য দুই আসামির নাম ‘তদন্তের স্বার্থে’ প্রকাশ করতে চাননি পুলিশ কর্মকর্তা মহসিন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে। ইউনিটে কর্মরত উপকমিশনার মো. শহীদুল্লাহ বলেন, সিএমপি কমিশনার স্যার মামলাটি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে মামলাটির নথিপত্র গ্রহণ করতে আমাদের একটি টিম থানায় গেছে। পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়াকে মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয়েছ। এদিকে রোহিঙ্গা নারী রমজান বিবি ওরফে লাকীর জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ার ঘটনায় করা মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে।
শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশের কক্সবাজারে থাকা অনেক রোহিঙ্গারে জাতীয় পরিচয়পত্র করে পাসপোর্টও নেওয়ার ঘটনা প্রকাশের পর তা তদন্তের উদ্যোগ নেয় ইসি। এরপর বিগত সোমবার রাতে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীনকে আটক করে পুলিশে দেয় নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। পরে তার কাছ থেকে ‘হারিয়ে’ যাওয়া একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। রাতে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, সম্প্রতি কক্সবাজারে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সময় পাঁচজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া যায় যে চট্টগ্রামে কর্মরত জয়নাল আবেদীনের সহায়তায় তারা ভোটার হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
তিনি আরও জানান, কক্সবাজারে আটক হওয়াদের তথ্য নিয়ে তাদের একটি দল জয়নালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় জয়নাল তার কাছে একটি ল্যাপটপ থাকার কথা স্বীকার করেন এবং তা তার বন্ধু বিজয়ের কাছে আছে বলে জানান। এরপর বিজয়কে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ডেকে আনা হলে তিনি বলেন, ল্যাপটপটি তার বোন সীমার কাছে আছে। সীমা ল্যাপটপটি নিয়ে রাতে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এলে তাদের তিনজনকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়।
এফএন/এমআর