কাউখালী(পিরোজপুর) প্রতিনিধি ॥
পিরোজপুরের কাউখালীর সন্ধ্যা ও গাবখান নদীর মোহনায় হঠাৎ করে তীব্র নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ভয়াবহ ভাঙনের মুখে পড়ে পিরোজপুর-স্বরূপকাঠি সড়কের আমরাজুড়ি-আশোয়া ফেরিঘাট ও দুই পাড়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিলীনের আশংকা দেখা দিয়েছে। অপরদিকে ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় শুক্রবার রাতে আমরাজুড়ি ফেরীঘাটের আশোয়া আমরাজুড়ি প্রান্তের ফেরির পন্টুনের গ্যাংওয়ে ভেঙ্গে নদীতে পড়ে যাওয়ায়। এর ফলে শনিবার পিরোজপুর-স্বরুপকাঠী রুটের আমরাজুড়ি ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আমরাজুড়ি ফেরীঘাটের সুপার ভাইজার মো. শাহ আলম জানান, গত এক যুগ ধরে কাউখালীর সন্ধ্যা ও গাবখান নদীর মোহনায় অব্যহত ভাঙন চলছে।শুক্রবার রাতে হঠাৎ করে এ এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। এতে ফেরীঘাটটি বিলীনের মুখে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ ফেরীঘাটের পারাপার সচল রাখতে আশোয়া প্রান্তে ঘাট স্থানান্তর শুরু করেছে। এ নিয়ে গত দুই বছরে ঘাট দুটি অন্তত ২০ দফা স্থানান্তর করা হল। তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যা ও গাবখান নদীর মোহনায় ভাঙন রোধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় বর্তমানে ভাঙনের তীব্্রতা বেড়েই চলছে।
আমরাজুড়ি ফেরীঘাট বাজারের ব্যবসায়ী ইমাম হোসেন জানান, আমরাজুরি মূলবাজার এখন সন্ধ্যা নদীর মাঝখানে। ইতিমধ্যে আমড়াজুড়ি ফেরিঘাট, বাজারের অন্তত ২৫টি দোকান পাট ও কয়েকশত বাড়ি ঘর বিলীন হয়েছে। এর আগে ভাঙনের কবলে আশোয় এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা ও আশোয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় বিলীন হয়ে যায়। এছাড়া সড়ক ও জনপথের অন্তত দুই কিলোমিটার রাস্তা নদী গর্ভে চলে গেছে।
আশোয়া গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, প্রতি বছর সন্ধ্যা ও গাবখান নদী ভাঙে। গত ২০ বছরে সন্ধ্যার করাল গ্রাসে আশোয়ার কয়েকশ বাড়ি, ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। জরুরি ভিত্তিতে নদী শাসনের উদ্যোগ না নিলে ঘাট, বাজার ও বাড়ি ঘর রক্ষা করা যাবে না। পূর্বআমরাঝুড়ি ফেরিঘাট এলাকায় নদী ভাঙনের ফলে গ্যাংওয়ের নিচের মাটি সরে গেছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে যান উঠা নামা করছে। আমড়াজুড়ী বাজারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ফেরিঘাট মসজিদ ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।
আমরাজুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সামসুদ্দোহা চাদঁ বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ভাঙন রোধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যুগযুগ ধরে সন্ধ্যা নদী ভাঙছে। প্রতিদিন এ জনপদের মাটি,স্থাপনা ও বৃক্ষরাজি সন্ধ্যার করাল গ্রাসে চলে যাচ্ছে। ভাঙন রোধে জরুরী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
আরএইচআর/কেএস