টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বোরো ধান আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা। সূর্য ওঠার সাথে সাথে কনকনে হাড় কাঁপানো শীত ও ভীষন রোদ উপেক্ষা করে জমিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কিষাণ-কিষাণিরা।
উদ্দেশ্য একটাই, বীজতলা তৈরি করা এবং তৈরি করা বীজ তলা থেকে (পাতো) ধানের ছোট চারা তুলে জমিতে লাগানো। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এখন অনেকে বীজতলা তৈরি করছে, আবার অনেকে বীজতলা থেকে চারা তুলে জমিতে রোপন করছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, প্রতিবছরই গোপালগঞ্জ জেলার কৃষি বিভাগের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কৃষকেরা কয়েকশ হেক্টর বেশি জমিতে বোরোর আবাদ করে থাকে। জেলার পাচঁটি উপজেলাতেই রোপা বোরো ধানের চাষ হয়। এর মধ্যে বিশেষ করে গোপালগঞ্জ সদর , টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ায় একটু বেশি রোপা বোরো ধানের আবাদ হয়ে থাকে। গোপালগঞ্জ জেলায় এবার ৯২ হাজার ১৪৬ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে টুঙ্গিপাড়া ৮ হাজার ৯৫২ হেক্টর জমিতে এবার বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রায় ৯ হেক্টর জমিতে প্রদর্শনী দেয়া হয়েছে।
টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার কৃষক বাকা শেখ বলেন, তিনি গতবছর ১.৫ একর জমিতে বোরো ধান চাষ করছিলেন। ভালো ফলন পাওয়ায় এবছর ২ একর জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। ইতিমধ্যে বেশির ভাগ জমিতে চারা লাগানোর কাজ শেষ হয়ে গেছে।
উপজেলার কুশলী গ্রামের কৃষক নিমিতোষ টিকাদার বলেন, এবার ৫ একর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। জমিতে সেচ, চারা, সার Ñসবই কিনে আনতে হয়। একারনে বোরো আবাদ খরচ একটু বেশি হয়।
তিনি আরো বলেন, কৃষকেরা নিজেদের বছরের খরচ রেখে বাকি ধান বিক্রি করে দেন। কিন্ত খরচের তুলনায় ধানের দাম কম থাকায় অনেকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তও হন।
ডুমুরিয়া গ্রামের কৃষক রবিন বিশ্বাস বলেন, আমি প্রায় আড়াই একর জমিতে হাইব্রিড বোরো ধানের আবাদ করেছেন । এখন শুধু সেচ ও সার দেওয়া বাকি। আশা করি ভালো ফলন হবে।
গোপালগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সমীর কুমার গোস্বামী জানান, জেলায় প্রায় ৯২ হাজার ১৪৬ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। গত (২১ জানুয়ারি) পর্যন্ত ৬০ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের হয়েছে আবাদ হয়েছে। তিনি দাবি করেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে লক্ষমাত্রা পূরনের চেয়ে আরও কয়েকশ হেক্টর জমি বোরো আবাদের আওতায় চলে আসবে। এছাড়া আগের চেয়ে এবার ভালো ফলন হবে এবং আশা করি কৃষকেরা ভালো দাম পাবে বলে।
এসএস/এনইউবি