আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরগুনার আমতলী সরকারী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোঃ মনিরুল ইসলাম (৪০) ও তার বৃদ্ধা মা সাফিয়া বেগমকে (৭০) চলন্ত বাস থেকে ফেলে দিয়েছেন মিশুক বাসের সুপার ভাইজার জামাল মিয়া। এতে কলেজ শিক্ষক ও তার মা আহত হয়। আহত শিক্ষক ও তার মাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের একে স্কুল চৌরাস্তায়।
জানাগেছে, আমতলী সরকারী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোঃ মনিরুল ইসলাম তার বৃদ্ধা মা সাফিয়া বেগমের চোখের চিকিৎসার উদ্দেশ্যে পটুয়াখালী জন্য আমতলী বটতলা বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল। কলাপাড়া থেকে ছেড়ে আসা মিশুক বাসটির সুপার ভাইজার জামাল মিয়া বাসে সিট আছে বলে তাদের ডেকে উঠান। কিন্তু ওই বাসে কোন সিট ছিল না। সিট না পেয়ে শিক্ষক তার অসুস্থ মাকে নিয়ে ওই বাসে যাবে না বলে জানান। এতে ক্ষেপে যায় বাসের সুপার ভাইজার জামাল মিয়া। এক পর্যায় আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের একে স্কুল নামক স্থানে চলন্ত বাস থেকে শিক্ষক মনিরুল ইসলাম ও তার মাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এতে শিক্ষক মনিরুল ইসলামের পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম এবং মা সাফিয়া বেগম আহত হয়। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত আমতলী সরকারী কলেজের প্রভাষক মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, বসার সিট আছে বলে আমাকে বাসে ডেকে উঠান সুপার ভাইজার। বাসে উঠে দেখি কোন সিট নেই। আমি ওই বাসে যাব না বলে সুপার ভাইজারকে জানাই। এতে ক্ষিপ্ত হয় সুপার ভাইজার। আমি সুপার ভাইজারকে বাস থেকে নামিয়ে দিতে বলা মাত্রই চলন্ত বাস থেকে আমাকে এবং আমার মাকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেয়। এতে আমি ও আমার মা গুরুতর আহত হয়েছি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আলহাজ্ব মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন, আহত শিক্ষক মোঃ মনিরুল ইসলামের বাম পায়ের গোড়ালিতে গুরুতর জখম হয়েছে। তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়।
বরগুনা জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং বাস মালিক সমিতির সদস্য মোঃ হাসান মৃধা বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি,এটা অন্যায়। ওই বাসের সুপার ভাইজারকে খবর দিয়েছি। ওর উপযুক্ত বিচার করা হবে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আবুল বাশার বলেন, কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর