ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥
দেশের জনগণের চেয়ে বিদেশিদের ওপর বিএনপির আস্থা বেশি। কিছু হলেই তারা বিদেশিদের ডেকে নালিশ করে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমত, বারবার কূটনীতিকদের সঙ্গে বসার মাধ্যমে বিএনপি এটাই প্রমাণ করছে যে, তাদের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই, আস্থা নেই। বরং, বিদেশিদের ওপরই তাদের সব ভরসা। যাদের জনভিত্তি নেই, তারাই বারবার কূটনীতিকদের কাছে যায়। কিছু হলেই দেখা যায়, বিএনপি বিদেশিদের ডেকে নালিশ করে। অনেকেই এজন্য ব্যঙ্গ করে বলে, বিএনপি মানে ‘বাংলাদেশ নালিশ পার্টি’। তারা বারবার বিদেশিদের সঙ্গে বাংলাদেশ বিষয়ে কথা বলে। এটা বিএনপির জন্য সত্যিই লজ্জাকর ব্যাপার।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আগামি অক্টোবর থেকে আন্দোলনের কথা বলেছেন- এ বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি অক্টোবর থেকে আন্দোলন শুরু করবেন বলেছেন। এটা কোন বছরের অক্টোবর, সেটি নিয়েও প্রশ্ন রেখেছে অনেকে। কারণ, তারা দশ বছর ধরে বলে আসছেন, ঈদ, শীত, গরম, বার্ষিক পরীক্ষার পর আন্দোলন করবেন। এমন অনেকবার বিএনপির আন্দোলনের তারিখ দেখেছি। কিন্তু, তাদের পক্ষে কোনো আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। মির্জা ফখরুল সাহেব কথা বলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সফল, কিন্তু কার্যক্ষেত্রে বিফল।
বিএনপির আন্দোলনের সক্ষমতা আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে বিএনপির সঙ্গে জনগণ নেই। জনগণ তো দূরের কথা, তারা যে আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছেন, সেখানে তাদের সঙ্গে নিজেদের কর্মীরাও নেই। যে নেতারা হাইকোর্টে বোরকা পরে হাজির হয়, তাদের ওপর কর্মীদের আস্থা থাকার কথা নয়।
ঋণখেলাপীদের নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি ব্যাপক এগিয়েছে। বিগত সাড়ে ১০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার তিনগুণের বেশি বেড়েছে। প্রবৃদ্ধি অর্জনেও সবার ওপরে বাংলাদেশ। প্রকৃতপক্ষে, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে না দেওয়ার সংস্কৃতি জিয়া (জিয়াউর রহমান) শুরু করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ আগের তুলনায় অনেক কমেছে। যেহেতু অর্থনীতির আকার বড় হয়েছে, সেজন্য পুরো চিত্রটা বদলে গেছে। এর জন্যই ঋণের পরিমাণ বড় মনে হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, শতকরা হিসাবে সেটি আগের তুলনায় অনেক কমেছে। আর বিএনপির এ বিষয়ে কথা বলার অধিকার নেই। কারণ, তারা যখন ক্ষমতায় ছিল, বাংলাদেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। শেখ হাসিনার দুর্নীতিবিরোধী নানা পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশের এখন সে পর্যায় থেকে অনেক উন্নতি হয়েছে।
এফএন/এমআর