মহিপুর সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
কুয়াকটার মহিপুরে মিথ্যা চাঁদাবাজী মামলা প্রত্যাহার এবং অসত্য খবর প্রকাশের প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় কুয়াকাটা মহাসড়কে ঘন্টা ব্যাপি এ কর্ম সুচি পালন করে। শিক্ষাথীরা অভিলম্বে তারা চাঁদাবাজি মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান । প্রত্যাহারের না করলে কঠোর কর্মসুচী দেয়ার ঘোসনা দেন ।
শিক্ষাথীরা দাবি করেন, মহিপুর মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠালগ্নে কলেজ কমিটি মহিপুর বাজারস্থ খাস পুকুরের উত্তর পার্শ্বের একটি ভিটি কলেজ কমিটি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে বরাদ্ধ দেয়। ২৬নং জেএল শিবারিয়া মৌজার ১নং খাস খতিয়ানের ৩১২৫নং দাগের অংশ থেকে ০.০০৪৪একর জমি কলেজের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে বরাদ্ধ দেয়া হয়। তৎকালীন কলেজের উন্নয়নের জন্য ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে টাকা নিয়ে ওই ভিটি বুঝিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু জনৈক আঃ ছালাম মুসুল্লী দলীয় প্রভাব খাটিয়ে গায়ের জোরে রাতের অন্ধকারে একটি ঘর র্নিমাণ করেন। ২০০৭ সালে সেনাবাহিনী কর্তৃক খাস জমি উদ্ধার অভিযানের অংশ হিসেবে ব্যবসায়ীদের মাঝে বরাদ্ধ দেয়া ঘর অপসারণ করা হয়। পরবর্তীতে সকলে ঘর উত্তোলন করলেও মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের ভিটিটি কেউ দখল করেনি।
পরে কতিপয় স্বার্থন্বেষী মহলের সহযোগীতায় আঃ ছালাম মুসুল্লী গোপনে ডিসিআর দখলে নেয়ার চেষ্টা করেন। কলেজের কর্তৃপক্ষের বাঁধা উপেক্ষা করে রাতের আধারে ঘর উত্তোলন করেন। প্রকৃতপক্ষে ওই ভিটির মালিক মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ। কলেজ থেকে ওই ভিটি জনাব ইউসুফ গাজীকে দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু আঃ ছালাম মুসুল্লী দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উক্ত ভিটিটি দখল করেন। তখন ইউসুফ গাজীর ঘরের মালামাল নষ্ট হওয়ার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে ৪২ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। তখন তার বিরুদ্ধে একটি মামলাটি দায়ের হয়। যা পরবর্তীতে তদন্তে সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে শিক্ষাথীরা বলেন, কলেজের ভিটি দখলের প্রতিবাদ করায় তার অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা হয়েছে। তার সুনাম নষ্ট করার জন্য একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।
উল্লেখ, গত ২৭ আগষ্ট কলাপাড়া জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদলতে আঃ সালাম মুসুল্লী বাদি হয়ে মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের নামে একটি চাঁদাবাজি মামলা করেন।
এমই/এমআর