বান্দরবান সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ঢলের ২ বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তে শূন্য রেখায় এখনও ৬৩৩ পরিবারের তিন হাজার ৯১০ জন অবস্থান করছেন। যদিও প্রথমে এখানে ৬ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছিল।
মিয়ানমারে হত্যা, নির্যাতন থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাত থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা আসা শুরু হয়। কক্সবাজার ছাড়াও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা, বড়ছনখোলা, আশারতলী সাপমারাঝিরি, ঘুমধুম, কোণার পাড়া বাইশফাঁড়ি ও দোছড়ি সীমান্ত দিয়ে অন্তত ৫০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করে।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নাইক্ষ্যংছড়ির বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর থেকে প্রথম দফায় কক্সবাজারের বালুখালিতে স্থানান্তর করা হয় ১২ হাজার রোহিঙ্গাকে। এরপর ধাপে ধাপে শাপমারা ঝিরিসহ অন্যান্য ক্যাম্পগুলোয় বাকিদের স্থানান্তর করা হয়। ঘুমধুম সীমান্তের শূন্য রেখায় থাকা রোহিঙ্গা মাস্টার দিল মোহাম্মদ জানান, রোহিঙ্গারা তুমব্রু কোণারপাড়া এলাকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন। তবে মিয়ানমার সরকারের ওপর উপর নির্ভর করছে তাদের দেশে ফেরা।
খবর নিয়ে জানা গেছে, শূন্য রেখায় থাকা সাড়ে ৬ হাজার রোহিঙ্গার মধ্যে মাত্র তিন হাজার ৯১০ রোহিঙ্গা অবস্থান আছে। বাকিরা পালিয়ে বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে গেছে। যারা শূন্য রেখায় আছে তারা মাদক পাচারসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের বাসিন্দা আবদুল হামিদ জানান, তুমব্রু সীমান্তের কোণার পাড়ায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে। তারা অনেকেই মিয়ানমার থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে। এ ছাড়া চোরাকারবারি, মারামারিসহ নানান অপরাধেও তারা লিপ্ত হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, তুমব্রু সীমান্তের আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। এ ছাড়া তারা এতটাই উগ্র যে কেউ তাদের সঙ্গে ভালো করে কথাও বলতে পারে না। তাদেরকে এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া উচিত। এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি বলেন, প্রশাসন সবসময়ই তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তাদের ব্যাপারে প্রশাসন সচেতন রয়েছে।
এফএন/এমআর