আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
আমতলী উপজেলা মানিকঝুড়ি বাজারে পরিবহন কাউন্টারে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছুড়ে ফেলেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় ওই কাউন্টারে থাকা আলতাফ গাজীকে মারধর ও চেয়ার টেবিল ভাংচুর করেছে তারা। ঘটনা ঘটেছে রবিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে। খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জানাগেছে, উপজেলার মানিকঝুড়ি বাজারে পরিবহন গাড়ীর কাউন্টার দেখাশুনা করছেন স্থানীয় আলতাফ গাজী। ওই কাউন্টারের বিগত উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ নির্বাচনী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করেছে। রবিবার দুপুরে ওই কাউন্টারে সাইফুল রাহাত, হোসেন মিয়া ও শহীদ মোল্লা এসে ঢাকা গাড়ী ভাড়ার কথা জানতে চায়। আলতাফ গাজী গাড়ীর ভাড়া চাওয়া মাত্রই ওই চার সন্ত্রাসী বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টানানো ছবি ছুড়ে মারে। এতে আলতাফ গাজী বাঁধা দিলে তাকে কিল ঘুষি ও লাথি মারে। পরে তার কাউন্টারে থাকা চেয়ার টেবিল ভাঙ্চুর করে সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে আমতলী থানার এসআই মোসাঃ নাসরিন সুলতানা ও এএসআই মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকরা বলেন, কয়েকজন সন্ত্রাসী এসে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছুড়ে ফেলে দিয়ে শহীদুল গাজী মারধর করেছে। পরে তার অফিসের চেয়ার টেবিল ভাংচুর করেছে তারা।
আহত আলতাফ গাজী বলেন, বিগত উপজেলা ও ইউনিয়ন নির্বাচনে আমার অফিস আওয়ামীলীগের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে। আমি ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের পক্ষ করেছি। ফারুক খান স্বতন্ত্র প্রাথীর পক্ষ করেছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফারুক খাঁন তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার পরিবহন কাউন্টারে থাকা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছুড়ে ফেলেছে। আমি এতে বাঁধা দিলে আমাকে মারধর করে অফিসের চেয়ার টেবিল ভাংচুর করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
ফারুক খান বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মনগড়া অভিযোগ তুলেছে। আমি এ ঘটনা জানিনা।
আমতলী থানার এসআই মোসাঃ নাসরিন সুলতানা বলেন, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি নিচে ফেলা এবং চেয়ার টেবিল ভাংচুর অবস্থায় পেয়েছি। পরে লোক দিয়ে গুছিয়ে রেখেছি।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আবুল বাশার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর