কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥
পরিত্যক্ত জুতা-সেন্ডেল। খালি পানির প্লাস্টিক বোতল। নারিকেলের খোসা। খাবার পরিবেশনের পরে খালি প্যাকেট। এমনকি পুরনো, জীর্ণ কাঁথা-বালিশ পর্যন্ত খালটিতে ফেলা হয়েছে। এক কথায় পরিবারের ব্যবহৃত যত ধরনের বর্জ্য রয়েছে সব ফেলা হচ্ছে এ খালটিতে। এসব বর্জ্যে গিজ গিজ করছে। পানি দেখা যায়না। চোখে পড়ছে শুধু বর্জ্য। যেন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। কেউ কেই বলছেন বর্জ্যের প্রদর্শনী এখন এ খালটি। বিভিন্ন রঙের খালি প্লাস্টিক বোতল থাকায় অনেকটা বর্ণিল দেখা যায়।
কলাপাড়া পৌরশহরের কবি নজরুল ইসলাম সড়কের পাশেই এ খালটির অবস্থান। কেউ কেউ রহমতপুরের খালের একাংশ বলে থাকেন। খালটির দুই দিকে চলছে ভরাট ও দখল। বর্তমানে পরিত্যক্ত বর্জ্যে এককার হয়ে আছে। পানির রঙ নিকষ কালো। কেউ কেই বলছেন খয়রি হয়ে গেছে। পাড়ের ঘনবসতি এলাকার মানুষ বলছেন তারা বসবাস করতে পারছেন না, দুর্গন্ধের কারণে। একে অপরকে অভিযোগ করছেন, তাঁরা ফেলেন না। অমুকে ফেলেন। কিন্তু পৌরসভা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা রয়েছে বলে সকলের একই অভিযোগ। যদিও কলাপাড়ায় ডেঙ্গু রোগের তেমন বিস্তার ঘটেনি। এ পর্যন্ত মাত্র ১১ জন রোগী শণাক্ত হয়েছে কলাপাড়া ও কুয়াকাটা হাসপাতালে। তার মধ্যে বর্তমানে একজন মাত্র ভর্তি রয়েছেন। তবে ডেঙ্গুর বিস্তার লাভের যথেষ্ট অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। এ খালটির পাড় দিয়ে ফেরার সময় বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের পূর্বপাশের দেয়াল ঘেঁষা ড্রেনটি দেখা যায়না। কচু গাছে একাকার। পরিষ্কার করা হয়নি। যদিওবা র্যালির মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান। একই দশা ভূমি অফিসের কাছারিবাড়ি এলাকার। বর্জ্যে একাকার। থানার ও ভূমি অফিসের টিনসেড তহশিলের সামনেই আটকে পড়া স্বচ্ছ পানি রয়েছে। ডেঙ্গু মশার বংশ বিস্তারের উপযোগী পরিবেশ রয়েছে। থানা, ভূমি অফিস, পুরানা কোর্ট ভবন এলাকায় একাধিক পুকুর কচুরিপানায় পরিপুর্ণ রয়েছে। অধিকাংশ ড্রেন ও খাল ডোবা ময়লা আবর্জনায় একাকার।
খোদ আন্ধারমানিক নদী তীরের লঞ্চঘাট এলাকায় বর্জ্যরে স্তুপ পড়ে আছে। বক্তি উদ্যোগে পৌরবাসী কেউ কেউ বাড়ি-ঘরের চারপাশ কিছুটা পরিষ্কার রাখছে। কিন্তু সামগ্রিক অবস্থার বেহাল দশা। যে কোন সময় ডেঙ্গুর ব্যাপক বিস্তার ঘটার শঙ্কা করছেন পৌরবাসী। কলাপাড়া পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার জানান, পরিচ্ছন্ন অভিযান চলমান রয়েছে। আর ওই খালটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নের উদ্যোগ নিয়েছেন। যাতে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করা হয় তার ব্যবস্থাও নেয়া হবে। অধিকাংশ ড্রেন পানি চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। মশার ওষুধ স্প্রে করা হয়েছে বলে জানালেন এ জনপ্রতিনিধি।
এমইউএম/এমআর