বানারীপাড়ায় মুক্তিদ্ধোর সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ

প্রথম পাতা » বরিশাল » বানারীপাড়ায় মুক্তিদ্ধোর সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ
মঙ্গলবার ● ২০ আগস্ট ২০১৯


বানারীপাড়ায় মুক্তিদ্ধোর সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ

বানারীপাড়া (বরিশাল) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বানারীপাড়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মুক্তিদ্ধো সোহরাব হোসেনের সম্পত্তিতে বালু ভরাট করে জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার রাতে উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের দড়িয়াবাদ এলাকার ব্যবসায়ী মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে এ বালু ভরাট করা হয়। এ বিষয়ে বীর মুক্তিদ্ধো সোহরাব হোসেন অভিযোগ করেন, তার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ভোগদখলীয় দড়িয়াবাদ মৌজার ২৫ নং জেএল ও ৩২ নং এসএ ক্ষতিয়ানের ১০, ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ নং দাগের ১৮৩.৭৫ শতাংশ সম্পত্তিতর মধ্য থেকে আউয়ার সড়কের পাশ দিয়ে একাংশের জমিতে বিগত ১৯ মে (১৩ রমজান) ৪০ হাজার টাকা খরচ করে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেন। এ সময় পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া তার বোন ছাহেরা খাতুন, বুকুলেন্নছা ও মুকুলেন্নেছার কাছ থেকে অন্য স্থানের চৌহুদ্দী দেয়া সম্পতির দলিল মূলে ক্রয় সূত্রে মালিক দাবী করে চাচাতো ভাইয়ের ছেলে ব্যবসায়ী মো. মিজানুর রহমান বিভিন্ন এলাকার লোকজন নিয়ে উক্ত মাটি ভরাট কাজের বাধা দেন। এ সময় তাদের অব্যাহত বাধা দেয়ার কারণে মুক্তিদ্ধো সোহরাব হোসেন তার জমির মাটি কাটার কাজ বন্ধ রেখে (বর্তমান বাসস্থান) ঢাকায় চলে যান। পরে স্থানীয় ভাবে এ নিয়ে একাধিকবার শালিস বৈঠক বসিয়ে কোন রকম সুফল না পেয়ে ১৮ আগষ্ট মুক্তিদ্ধো সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে বরিশাল বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৪ ও ১৪৫ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক উক্ত সম্পত্তিতে শান্তিশৃংঙ্খলা বজায় রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ওসি বানারীপাড়াকে নির্দেশ দেন। ওই দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. খলিলুর রহমান আদালতের এ নির্দেশ পেয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এ.এস.আই শামীম হোসেনকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এ.এস.আই শামীম হোসেন ওই দিন বিকেল ৫টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে বাদী সোহরাব হোসেন ও বিবাদী মিজানুর রহমান সহ দু’পক্ষের ৫ জনকে তফসীল বর্ণিত সম্পত্তিতে যে সকল কাজ ধারা শান্তি শৃঙ্খলা ভংঙ্গের সম্ভাবনা রয়েছে সেই সকল কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য উভয় পক্ষকে নেটিশ জারী করেন। এ সময় মিজানুর রহমান আদালতের ওই নির্দেশ মেনে নিলেও এর মাত্র কয়েক ঘন্টা পরেই রাতের আধারে বিরোধীয় সম্পত্তিতে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাট করেন।
এবিষয়ে থানা পুলিশের মাধ্যমে আদালতের নির্দেশ পাওয়ার কথা অস^ীকার করে ব্যবসায়ী মো.মিজানুর রহমান বলেন, আমি অন্য কারও সম্পত্তিতে বালু ভরাট করিনি। আমি মুক্তিদ্ধো সোহরাব হোসেনের বোন ও আমার চাচাতো ফুফু ছাহেরা খাতুন, বুকুলেন্নেছা ও মুকুলেন্নেছার কাছ থেকে ক্রয়সূত্রে ১২নং দাগের সাড়ে ১৩ শতাংশ ও ১৮নং দাগের ৭ শতাংশ সম্পত্তির মালিক হিসেবে ওই সম্পত্তিতে বালু ভরাট করেছি।

জিএমআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:২২:৪৭ ● ৪৮৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ