খালেদা মুক্ত হলে সরকার এক মিনিটও ক্ষমতায় থাকতে পারবে না: ফারুক

প্রথম পাতা » রাজনীতি » খালেদা মুক্ত হলে সরকার এক মিনিটও ক্ষমতায় থাকতে পারবে না: ফারুক
রবিবার ● ১৮ আগস্ট ২০১৯


খালেদা মুক্ত হলে সরকার এক মিনিটও ক্ষমতায় থাকতে পারবে না: ফারুক

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

বেগম খালেদা জিয়া যদি এই মুহূর্তে কারাগার থেকে বের হয়ে মানুষের সামনে উপস্থিত হন তাহলে সরকার এক মিনিটও ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতি এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেছেন, একটি অসত্য-মিথ্যা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। কারণ সরকার বেগম জিয়াকে ভয় পায়। তারা জানে বেগম জিয়া যদি এই মুহূর্তে কারাগার থেকে বের হয়ে মানুষের সামনে উপস্থিত হন তাহলে তারা (সরকার) এক মিনিটও ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
রবিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অপরাজয় বাংলাদেশ নামক একটি সংগঠন আয়োজিত চামড়া শিল্প ধ্বংসকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য নেতাকর্মীদের রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়ে ফারুক বলেন, এই রাজপথে থাকার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। রাজপথে আমরা বহুবার আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। এতিমের চামড়ার টাকা যারা লুট করতে পারে।
অতীতের লুটপাটের অভিজ্ঞতা যে সরকারের আছে সেই সরকারের কাছে দাবি করে কোনো লাভ নেই। তাই আসুন রাজপথে নেমে গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করি। তিনি আরও বলেন, বেগম জিয়াকে সরকারি সিদ্ধান্তে মুক্ত করা যাবে না। তাই বেগম জিয়াকে যদি মুক্ত করতে হয় তাহলে সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামতে হবে। বেগম জিয়াকে মুক্ত করার জন্য কয়জন প্রাণ দিয়েছেন? কয়টি মামলা খেয়েছেন? আসুন রাস্তায় লড়াই করেন, লড়াই করলে যারা এতিমের চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করে দিয়েছে সেই সিন্ডিকেট অটোমেটিকলি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এই সরকারের কাছে দাবি করে কোনো ফল পাওয়া যাবে আমি এটা বিশ্বাস করি না।
বিএনপিকে মিডিয়া বাঁচিয়ে রেখেছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে উনি অসুস্থ ছিলেন। আমরা ওঁর জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলাম উনি যেন বেঁচে থাকেন। আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম তিনি অসুস্থ অবস্থা থেকে ফিরে এসে বিরোধী দলের গঠনমূলক সমালোচনা করবে কিন্তু আমরা কী দেখলাম তার কথাবার্তা সেই আগের মতোই আছে। তার মতো একজন বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ যদি বিরোধী দলকে এমন আন্ডার এস্টিমেট করে কথা বলেন এটা কী শোভা পায়? আমি যদি তাকে প্রশ্ন করি আপনাদেরকে আপনাদের রাজনীতি পুলিশ টিকিয়ে রেখেছে। আপনারা তো পুলিশের উপর নির্ভর করে ক্ষমতায় টিকে আছেন।
চামড়া শিল্প ধ্বংসকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে সাবেক এই বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বলেন, চতুর্থ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী চামড়া শিল্প শিল্পকে আজকে কারা; কে সেই ব্যক্তি যারা চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করে দিল। দাম না পেয়ে হাজারো চামড়া মাটির নিচে পুঁতে ফেলা হলো। আজকে ৬ দিন হল ঈদ চলে গেছে সরকার যদি সত্যিকার অর্থে জনবান্ধব হতো তাহলে এই গরিবের হকের এতিমের চামড়া লুণ্ঠনকারীদের বিচার হতো। কেন এখনো এই গরিবের টাকা আত্মসাৎ কারীদের খুঁজে বের করা হচ্ছে না। সেটা তো সরকার করবে না কারণ এই সরকার নিশি রাতের সরকার। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার নয়। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার নয়। সে কারণে জনগণের কাছে তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
অনির্বাচিত সরকার স্বাস্থ্যখাত, পাটশিল্প, শেয়ারবাজার ধ্বংস করে এখন চামড়াশিল্পকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে মন্তব্য করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, এই সরকারের আমলে সম্মানিত বিচারকদের নিয়েও প্রশ্ন করা হচ্ছে? এই সরকারের আপনজনেরা সিন্ডিকেট করে এতিম-গরিবদের হকের টাকা চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করে দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছে। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি খলিলুর রহমান ইব্রাহিম এর সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, কল্যাণ পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান তামান্না, তাঁতী দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:৪৬:৩৪ ● ৩৭৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ