চরফ্যাশন (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
চরফ্যাশনে ঈদুল আযহা উপলক্ষে টানা ৮ দিনের ছুটি কাটাতে জ্যাকব টাওয়ার, শিশুপার্ক, বেতুয়া লঞ্চঘাট, মায়াব্রীজ, খামার বাড়ী এবং কুকরী-মুকরী সমদ্র সৈকত এর টানে যান্ত্রিক শহরের মানুষগুলো ছুটে আসছে চরফ্যাশনে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, ঈদকে ঘিরে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে বিনোদন কেন্দ্রগুলো। বিশেষ করে দৃষ্টি নন্দন জ্যাকব টাওয়ার, শেখ রাসেল ডিজিটাল শিশুপার্ক, ফ্যাসন স্কয়ার, খামারবাড়ী, বেতুয়া লঞ্চঘাট, মায়াব্রীজসহ অসংখ্য বিনোদন কেন্দ্র। টানা ৮দিন সরকারি ছুটিতে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা অচেনা পর্যটক। পর্যটক রাসেল বলেন, আমি সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে চাকুরী করি । মঙ্গলবার সকালে বেতুয়া দিলে লঞে নামলাম। বাংলাদেশে এত সুন্দর জায়গা আছে তা আমার জানা ছিলনা। না আসলে বুঝা যেতনা বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এছাড়াও কুকরী-মুকরীতে রয়েছে সবুজের মিতালী। সেখানে হরিনের ছোটাছুটি আর বাহারি বৃক্ষের সমারোহ। পাখি দেখার টাওয়ার আর রেস্ট হাউজ দেখে মন জুড়াবে ভ্রমণ পিপাসুদের। পাখিদের কলোতান মুগ্ধ করবে আগতদের।
পৌর মেয়র বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ জানান, এবারের ঈদুল আযহার আগেই বেশ পর্যটক লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রিয় জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দকে আরও দ্বিগুন করতে শহরের লোকদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। আমি আশাকরি, ঈদের আগে ও পরে বেশ কিছু দিন পর্যটকের কোলাহলে মুখরিত থাকবে চরফ্যাশন উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
কুকরী-মুকরী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন জানান, ঈদের ছুটিসহ বিভিন্ন ছুটিতে এখানে ছুটে আসেন হাজারো পর্যটক। দ্বীপরানী চরফ্যাশনকে আধুনিক পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলেছেন যুব ও ক্রিড়া মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি। তিন দফায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য হয়ে পর্যটকদের জন্য চর কুকরী মুকরীকে কুইন অব আইল্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলেছেন। ইউরোপ, আমেরিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, এশিয়াসহ বিশ্বের ্রতিটি কোনায় ছুটে চলা মানুষটি চরফ্যাশনকে কেন্দ্র করে শিক্ষা ও পর্যটনবান্ধব নগরী গড়ার স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন। সেই পথেই এগিয়ে চলেছে চরফ্যাশনের কুকরী-মুকরী, ঢালচর, তারুয়া, শিবচরসহ অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্র।
কুকরী-মুকরী ঘুরে আসা পর্যটক ডাঃ মাহবুব কবির বলেন, এই চরে রয়েছে অন্যতম বৃহৎ বন্যপ্রাণী। অভয়ারন্য ম্যানগ্রোভ বনের অপূর্ব সৌন্দর্য পর্যটকদের বিস্ময় করে তুলবে। বনের ভেতরে এঁকে বেঁকে গেছে স্বর্পিল লেখ। আছে বালুকাময় নদীর তীর ও সি-বিচ। চরফ্যাশনের এই পর্যটন কেন্দ্রগুলো ভোলা জেলাকে আলাদা পরিচয় দেবে বলে আমি বিশ্বাস করি। সকল পর্যটকদের কে একবার হলেও চরফ্যাশনের সকল পর্যটন কেন্দ্রগুলো ঘুরে আসার অনুরোধ করছি। অবশ্যই আপনাদের ছুটির দিনগুলো ভালো কাটবে।
এএইচ/এমআর