ঈদ উপলক্ষে কমলাপুর থেকে ৩ জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলাচল শুরু

প্রথম পাতা » জাতীয় » ঈদ উপলক্ষে কমলাপুর থেকে ৩ জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলাচল শুরু
বৃহস্পতিবার ● ৮ আগস্ট ২০১৯


ঈদ উপলক্ষে কমলাপুর থেকে ৩ জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলাচল শুরু

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

ঈদুল আজহায় রাজধানীর কমলাপুর থেকে চলছে তিন জোড়া স্পেশাল ট্রেন। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) থেকে শুরু হয়েছে তিন রুটে এ ট্রেন চলাচল। ঈদের আগে ও পরে চলবে এ ট্রেনগুলো।
কমলাপুর থেকে যে তিন জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলবে, তা হলো, দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল, খুলনা ঈদ স্পেশাল ও লালমনি ঈদ স্পেশাল। রেলের তথ্য মতে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে তিনটি স্পেশাল ট্রেনসহ মোট ৩৭টি আন্তঃনগর ট্রেন ছেড়ে যায়। আর বিভিন্ন রুটে ১৫টি মেইল ট্রেন চলবে। আন্তঃনগর ও মেইল মিলে প্রায় সাড়ে ৫৯ হাজার আসন রয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বাড়ি যান ঘরমুখো মানুষ। স্বজনদের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করতে বাড়ি ফিরছেন। বিগত ৩০ জুলাই যারা ট্রেনের আগাম টিকিট কিনেছেন, তারাই বৃহস্পতিবার যাত্রা করেন।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক বলেন, যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে কাজ করছি আমরা। এবার ট্রেন অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে সঠিক সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া যাত্রীরা যাতে ডেঙ্গুজ¦রে আক্রান্ত না হন, এজন্য ট্রেনে এডিস মশা নিধনে ওষুধ দেওয়া হয়েছে। ট্রেন যাত্রী ওবায়দুল হক বলেন, ভোরে বৃষ্টি থাকায় পরিবারকে নিয়ে কমলাপুর আসতে বেশ ভোগান্তি হয়েছে। গাড়ি পাওয়া যাচ্ছিলো না, পরে উবারে কমলাপুর পৌঁছালাম। অপর যাত্রী সাদিয়া বলেন, বাড়ি ফিরতে কিছুটা ভোগান্তি আছে, কিন্তু স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করলে সেই কষ্ট আর থাকে না। কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কয়েক স্তরে একাধিক নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে।
দেরিতে ছাড়ছে ট্রেন, ভোগান্তিতে যাত্রীরা: ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিন গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে প্রায় সবক’টি ট্রেন দেরিতে ছাড়ে। নির্ধারিত সময়ে ট্রেনগুলো স্টেশনে পৌঁছাতে না পারার ফলেই এ বিপর্যয়। স্টেশন থেকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ট্রেন দেরিতে ছেড়ে যাওয়ার কথা। সকালে কমলাপুর স্টেশনে এসে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে চাওয়া যাত্রীরা। বুধবার ট্রেনের কিছুটা বিলম্ব থাকলেও আজ কোনও ট্রেনই শিডিউল অনুযায়ী ছেড়ে যায়নি। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনগুলোর প্রতিটিই নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যেতে পারবে না বলে স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
একদিকে বৃষ্টি অন্যদিকে ট্রেনের দেরিতে ভোগান্তিতে পড়েন তারা। বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও কমলাপুর ছেড়ে যায় সকাল সাড়ে আটটার দিকে। চিলাহাটীগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৮টায় ছাড়ার কথা থাকলেও স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় ১০টা ২৫ মিনিটে। এ ছাড়া সকাল ৯টায় রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য সময় দেওয়া হলেও ছেড়েছে ১১টায়। দিনাজপুর-পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস সকাল ১০টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ছেড়েছে সোয়া ১১টায়। চিলাহাটীগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ৩০ জুলাই অনেকটা যুদ্ধ করে কাক্সিক্ষত টিকিট পেয়েছিলাম। তবে সময়মতো স্টেশনে উপস্থিত হয়ে জানতে পারলাম ট্রেন আড়াই ঘণ্টা লেট। সঙ্গে মা, স্ত্রী, ছোট ছোট সন্তান রয়েছে। একে তো দীর্ঘপথ, তার ওপর যদি ট্রেন লেট হয়, তাহলে এই বিড়ম্বনা কীভাবে মেনে নেওয়া যায়। রেল কর্তৃপক্ষ জানেই যে ঈদের সময় ব্যাপক যাত্রী চাপ সৃষ্টি হয়, সে অনুযায়ী তারা আগে থেকে কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে না। আর তার মাশুল দিতে হয় আমাদের মতো সাধারণ যাত্রীদের।
কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক বলেন, ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে স্টেশন থেকে তিনটি স্পেশালসহ মোট ৫৫টি ট্রেন ছেড়ে যাবে। আমরা সার্বিক চেষ্টা করছি ট্রেনগুলোর শিডিউল ঠিক রাখার। আসলে যে ট্রেনগুলো দেরি করে স্টেশনে এসে পৌঁছেছে সেই ট্রেনগুলোই দেরিতে ছেড়েছে। বাকি ট্রেনগুলো নির্ধারিত সময়েই স্টেশন ছেড়ে গেছে। আগামী ১২ আগস্ট বাংলাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। বাঙালি মুসলমানরা সেই উৎসব স্বজনদের সঙ্গে উদযাপন করতে পছন্দ করে। তাই ঈদের ছুটিতে কোটি মানুষ ঢাকা ছাড়ে। এতে ফাঁকা হয়ে যায় চিরচেনা নগরের রূপ।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:৫৪:৩৩ ● ৬১৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ