কলাপাড়ায় পলি বেগমরা গুটিয়ে নিলেন ভিক্ষার হাত

প্রথম পাতা » সর্বশেষ » কলাপাড়ায় পলি বেগমরা গুটিয়ে নিলেন ভিক্ষার হাত
বৃহস্পতিবার ● ৮ আগস্ট ২০১৯


কলাপাড়ায় পলি বেগমরা গুটিয়ে নিলেন ভিক্ষার হাত

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

একমাত্র সন্তান লিটনকে পেটে (গর্ভে) থাকা অবস্থায় স্বামী মারা গেছে পলি বেগমের। এখন বয়স অন্তত ৫০ বছর। এ বয়সের অর্ধেকটা কেটেছে মানুষের কাছে হাত পেতে। ভিক্ষে করেছেন। টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া গ্রামের কুয়াকাাগামী বেড়িবাঁধ সড়কের ঢালে থাকেন। ভাগ্য বড় নির্মম, ছেলে লিটনকে সবাই গোঙ্গা লিটন নামে চেনে। সহজ-সরল। বোকা ধরনের-এমন ভাষ্য পলি বেগমের। দীর্ঘ দুই যুগ পরে ভিক্ষে করা জীবনের অবসান ঘটতে চলছে পলি বেগমের।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম রাকিবুল আহসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মুনিবুর রহমান এ হতভাগী মানুষটিকে ১০টি হাঁস, ১০টি মুরগী, এসব পালনের জন্য দুইটি নির্মিত খোপ (ঘর) ও খাবার কেনার জন্য এক হাজার টাকা নগদ দিলেন। পলি বেগম চটপটে সকলের কথার উত্তর দেন। স্পষ্ট বললেন, ‘এইয়া পাইল্যা বড় করমু। ডিম ব্যাচমু। বাচ্চা করমু। লাভ দিয়া নিজে খামু।’ মানুষটি উৎফুল্ল চিত্তে এসব সহায়তা গ্রহন করলেন। একইভাবে ভিক্ষুক মিন্টু খা স্ত্রী নাসিমা বেগম একই ধরনের সহায়তা নিলেন। ধানখালীতে বাড়ি। চার জনের সংসার এ ভিক্ষুক দম্পতির। বেড়িবাঁধের ঢালেই বসবাস। ভিক্ষের হাত গুটিয়ে নেয়ার প্রত্যয় জানালেন এ দম্পতি। একই কথা আরেক ভিক্ষুক দম্পতি দুলাল হোসেন ও মর্জিনা বেগমের। টিয়াখালীতে বাড়ি এ দম্পতির। পাঁচ জনের সংসারে ভিক্ষা জীবনের ইতি ঘটানোর অভিব্যক্তি প্রকাশ করলেন।
ইউএনও মো. মুনিবুর রহমান জানান, তিনটি ভিক্ষুক পরিবারকে হাঁস-মুরগী পালনের মধ্য দিয়ে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হলো। তিনি আরও জানান, আরও এক ভিক্ষুককে দোকান দিয়ে ক্ষুদ্র্র ব্যবসার ববস্থা করা হচ্ছে। এভাবে কলাপাড়ায় তালিকাভুক্ত ১৩০ ভিক্ষুক পরিবারকে পর্যায়ক্রমে পুনর্বাসিত করার উদ্যোগ নেয়া হলো। এসব পরিবারের ভিক্ষার হাতকে কর্মের হাতে পরিণত করার দৃঢ় মনোবল পরিলক্ষিত হলো।

এমইউএম/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৫০:৪৪ ● ৩৫৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ