ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥
বন্যা পরিস্থিতি দেখতে দুর্গত এলাকায় হেলিকপ্টারে করে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেন, ত্রাণ বিতরণ করতে আমি হেলিকপ্টারে যাইনি। বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলাম। কারণ হেলিকপ্টার ছাড়া বন্যা পরিস্থিতি দেখা সম্ভব ছিল না।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, বন্যার ভয়াবহতা দেখে আমরা সরকারকে কাছে আবেদন জানিয়েছি ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য। দেশের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে এটা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমি সেই কাজটিই করেছি। পাশাপাশি কর্মীদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য আমিও কিছু ত্রাণ বিতরণ করেছি। তবে মূল কাজটি করেছে আমাদের দলীয় নেতাকর্মী এবং মেডিকেল টিম।
তিনি বলেন, বন্যা ও ডেঙ্গুতে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল দেশ। এখন কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আমরা জামালপুর, শেরপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাটে ত্রাণ দিয়েছি। জাপা চেয়ারম্যান বলেন, তাদের (বন্যদুর্গত) দাবি ত্রাণ নয়, বন্যা প্রতিরোধ করা। অনেকেই ত্রাণ নিতে চান না। এ সমস্যাগুলোর কারণে তারা ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ, সময়মত না পাওয়ার অভিযোগ করেন। যেসব এলাকা আক্রান্ত হবে, সঙ্গে সঙ্গে ত্রাণ দেওয়া দরকার।
তিনি বলেন, আমি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের শুরু থেকেই সাংগঠনিক কর্মকা- ও কর্মতৎপরতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করছি। কারণ, আমি বিশ্বাস করি অবাধ তথ্য প্রবাহ ছাড়া রাজনৈতিক তৎপরতায় গতিশীলতা আসবে না। প্রশ্নের মধ্য দিয়ে ক্রুটি-বিচ্যুতি পরিমার্জনের সুযোগ পাওয়া যায়। জাতীয় পার্টির এক নেতা বলেন, প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে। তার মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটেছে, এটা মোকাবিলা করা যায়নি। এই বাস্তবতা কর্তৃপক্ষকে মেনে নিতে হবে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় ব্যর্থতা অবশ্যই ছিল। সব হাসপাতালে ডেঙ্গু চিকিৎসা ফ্রি করতে সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকের সঙ্গে সাময়িক ব্যবস্থাপনার ভিত্তিতে চিকিৎসা সেবার সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালের খরচ সরকারকে দিতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, রেজাউল ইসলাম ভূইয়া প্রমুখ।
এফএন/এমআর