মানিকগঞ্জ সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার হার কমছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধ নিয়ে সামাজিক আন্দোলন শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়ে সবাই কাজ করছে। তাই ডেঙ্গুর সার্বিক পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভালো। যার যার বাড়ি আর আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করলেই দ্রুত এটি নির্মূল হয়ে যাবে। ডেঙ্গু নির্মূল করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কয়েক মাস সময় লাগবে।
সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে পৌরসভার ডেঙ্গু নিধন ক্রাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধনের সময় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। পৌর মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিমের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস এম ফেরদৌস, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আকন্দ, মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান, মানিকগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুল মজিদ ফটো, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের দেখতে যান। তিনি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন এবং চিকিৎসক ও নার্সদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী জানান, সারাদেশে এ পযন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঈদের সময় সরকারি হাসপাতালের মতো বেসরকারি হাসপাতালেও ডেঙ্গু চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ইতোমধ্যে সারা দেশের সব সরকারি হাসপাতালে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পরে মন্ত্রী হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ফগার মেশিন দিয়ে মশা নিধন কার্যক্রম ও পরিস্কার-পরিছন্নতার উদ্বোধন করেন।
এরআগে গত রোববার রাতে মানিকগঞ্জের গড়পাড়ায় জাতীয় শোক দিবস পালনের কর্মসূচি ও ডেঙ্গু জ¦র এবং সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সচেতনতামূলক সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই, যেখানে ডেঙ্গু হয় না। সিঙ্গাপুর সবচেয়ে পরিষ্কার দেশ। সেখানেও ডেঙ্গু হয়। আমেরিকা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের সব দেশেই ডেঙ্গু হয়। কাজেই আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। ডেঙ্গু মোকাবিলায় সবকিছুই নিয়ন্ত্রণে আছে। ঈদের সময় ডেঙ্গু রোগী আরো বাড়ার আশঙ্কা করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ডেঙ্গু যেহেতু ঢাকায় বেশি হয়েছে, এই ডেঙ্গু রোগীরা সারা দেশেই ছড়িয়ে দিতে পারে। অন্যান্য জেলায়ও ডেঙ্গু বাড়তে পারে। সে জন্য সব জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে যেন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তিনি আরো বলেন, হাসপাতালগুলো এখন রোগীতে ভরা আছে। আরো যদি রোগী হয়, হতেই পারেই, সে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। একটি স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যতটুকু করা প্রয়োজন, তার সবটুকুই করা হয়েছে। মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সভায় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমসহ জেলার সব পদস্থ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এফএন/এমআর