খুলনায় কপোতাক্ষের ভাঙনে বিলিন হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম

প্রথম পাতা » খুলনা » খুলনায় কপোতাক্ষের ভাঙনে বিলিন হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম
শুক্রবার ● ২ আগস্ট ২০১৯


খুলনায় কপোতাক্ষের ভাঙনে বিলিন হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম

খুলনা সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

খুলনার পাইকগাছায় কপোতাক্ষ নদের ভাঙনে বিলিন হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। বর্ষায় নদে ¯্রােত বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও ভাঙনরোধে তেমন কোনো ভূমিকা পরিলক্ষিত হয়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার আগড়ঘাটা, মালথ, হাবিবনগর, পাররামনাথপুর, দরগাহমহল ও মামুদকাটি গ্রাম ভাঙ্গনের শিকার। ইতোমধ্যে হাবিবনগর ও পাররামনাথপুর গ্রাম দুইটি নদের গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।
স্থানীয় রহিম শেখ ও মেহের আলী মোড়ল জানায়, প্রায় ২শতাধিক পরিবার ভাঙ্গনের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে বিভিন্ন স্থানে চলে গেছে। নদের গর্ভে বিলিন হয়েছে মসজিদ, মাদরাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয়, কবরস্থান ও দরগাহ। সম্প্রতি বর্ষা মৌসুমে নদের ¯্রােত বেড়ে যাওয়ায় বিলিন হয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। অব্যাহত ভাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, অধ্যক্ষ মাওঃ সাইফুল ইসলামের বাড়ী ঘর ও সম্পদ-সম্পত্তি নদের গর্ভে চলে গেছে। আগড়ঘাটা বাজারের সিংহভাগ নদের গর্ভে বিলিন হওয়ায় বাজারটির অস্থিত্ব হুমকির মুখে। পাইকগাছা-খুলনা প্রধান সড়কের অবস্থান কয়েক বার পরিবর্তন হয়েছে। ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আবারো সড়কের অবস্থান পরিবর্তন করা লাগবে বলে মুক্তিযোদ্ধা শেখ সালামউল্লাহ জানান।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়ার্দার জানান, ভাঙনরোধে খুলনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বস্ত করলেও আজও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তিনি আরো বলেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়া হলে পাইকগাছা-খুলনার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। পাইকগাছা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও মো. ফরিদ উদ্দীন জানান, ভাঙন কবলিত এলাকা যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন হওয়ায় পাইকগাছা উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের কোনো কিছু করার নেই। তবুও বিষয়টি ভয়াবহ হওয়ায় তাদেরকে অবহিত করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুলিয়া সুকায়না জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। তারা অচিরেই ভাঙনরোধের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:৫৪:০৬ ● ৪৬০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ