কলাপাড়ায় উচ্ছেদ আতঙ্কে অসহায় দরিদ্র পরিবার

প্রথম পাতা » সর্বশেষ » কলাপাড়ায় উচ্ছেদ আতঙ্কে অসহায় দরিদ্র পরিবার
মঙ্গলবার ● ৩০ জুলাই ২০১৯


কলাপাড়ায় উচ্ছেদ আতঙ্কে অসহায় দরিদ্র পরিবার

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

৪২ বছর ধরে বসবাস করা বসতঘর থেকে উচ্ছেদে প্রকাশ্য দিনের বেলা ২৫-৩০ সশস্ত্র সন্ত্রাসী দরিদ্র মিনারা বেগম ও আবুল কালাম দম্পতির ঘরে হামলা তান্ডব চালিয়েছে। বসতঘর ও সামনের ছোট্ট একটি গ্যারেজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সামনে থেকে টিনের বাউন্ডারি করে আটকে দেয়া হয়েছে।
মিনারা জানান, দা ছেনা লাঠি, লোহার রড, হাতুড়ি, শাবল নিয়ে হামলে পড়ে দখলদার সন্ত্রাসীচক্র। ঘরের বেড়া টিন পিটিয়ে ভাংচুর করা হয়। বাধা দিতে গেলে মিনারাকেও লাঞ্ছিত করা হয়।  দুই মেয়ে তানিয়া ও সুমিকে ধাক্কা দেয়া হয়। প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী এমন তান্ডব চালানো হয়। কলাপাড়া পৌরশহরের ফেরিঘাট এলাকায় মহাসড়কের পাশের এমন তান্ডব শত শত মানুষ নীরবে দাড়িয়ে দেখতে থাকে।
তানিয়ার অভিযোগ রবিবার শেষ বিকেলের এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে তিনি দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। ওই সময় তার স্বামী বরিশালে চিকিৎসার জন্য ছিলেন। মিনারার অভিযোগ অফিস মহল্লার সোহাগ, সবুজবাগের মাসুম বিল্লাহ ও টিয়াখালীর কালা মিরাজের নেতৃত্বে এমন তান্ডব হামলার ঘটনায় তারা গোটা পরিবার চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সবাই রয়েছেন চরম নিরাপত্তাহীন। স্থানীয়রা জানান, কুয়াকাটাগামী সড়ক হওয়ার আগে থেকে কালাম তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ওই জায়গায় প্রথমে ঝুপড়ি তুলে বসবাস শুরু করেন। পরে সমবায় বাংক থেকে মাটি ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। সামনের অংশে বারান্দায় একটি গ্যারেজ ও পেছনে বাসাবাড়ি করে থাকছেন। বর্তমানের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারছেন না। নিরাপত্তাহীন হয়ে আছেন। বসতঘরটি না ছাড়লে খুন-জখমের হুমকি দেয় বলে মিনারার দাবি।
তিনি সোমবার রাতে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে এসে নিরাপত্তার কথা বলে কান্না জুড়ে দেন। তিনি তার নিরাপত্তার জন্য পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অভিযুক্তদের একজন কালা মিরাজ ওরফে মিরাজ জানায়, ওই জমি সমবায় ব্যাংক একজনকে লিজ দিয়েছে। তার জন্য বেড়া দেয়া হয়েছে। মারধরের কথা ঠিক নয়। তবে উচ্চবাচ্চ কথাবার্তা হয়েছে। কলাপাড়া থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত সকল সহায়তা করা হবে।

এমইউএম/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৭:১৭:৪৯ ● ৫০৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ