ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জঙ্গিদের মূলোৎপাটন করতে পারিনি, তবে নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। জঙ্গিরা বিদেশি নয়, দেশীয়। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নামে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। এদের মূলোৎপাটনের কাজ চলছে।
রবিবার (২৮ জুলাই) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে নিরাপত্তা বিষয়ক সভা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সভা শেষে দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, বন্যায় বেশিরভাগ রেল ও সড়ক পথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে এগুলো মেরামত করতে বলেছি। এ কারণে নদীপথে একটা চাপ থাকবে। চাপের কারণে দুর্ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য নৌ-পুলিশকে তৎপর থাকতে বলা হয়েছে। গুজব প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এদেশে ভালো কাজ হোক, তা কেউ কেউ চায় না। মূলত এরাই দেশের স্বাধীনতা চায়নি। তারাই বাংলাদেশের কোনও উন্নয়ন ভালোভাবে নেয় না। জনগণ এই গুজব বিশ্বাস করে না। গুজব ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় এরা। গুজব রটনাকারী ১০০ জনকে ধরা হয়েছে। আরও ধরা হবে। গুজবের কারণে পদ্মা সেতুর কাজ বিলম্বিত হবে না।
মধ্যপ্রাচ্য থেকে গুজব ছড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, যারা এ ধরনের কাজ করে তারা দেশে টিকতে না পেরে দেশ ছেড়ে পালায়। যেখানে গিয়ে আশ্রয় নেয়, সেখান থেকেই এই তৎপরতা চালায়। প্রিয়া সাহার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে একটি গোষ্ঠী কাজ করছে, এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কী করছেÑএ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের যুগ যুগ ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজমান। যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায় তাদের এ তৎপরতা কাজে আসবে না। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আছে, থাকবে। ধর্মীয় উপাসনালয়ের দায়িত্বে যারা থাকেন, তারা সব সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীত বজায় রাখতে অবদান রেখেছেন। আগামীতেও তাদের অবদান রাখতে আহ্বান জানাই।
শোক দিবসে নাশকতার আশঙ্কা নেই: আগামী ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, দিবসটিকে কেন্দ্র করে নাশকতার আশঙ্কা নেই। তবে যেকোনও ধরনের নাশকতা ঠেকাতে আমরা তৎপর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ৬টায় ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা জানাবেন। এ সময় ৩২ নম্বরকে ঘিরে র্যাব ও পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। লেকে থাকবে নৌ পুলিশ। এরপর প্রধানমন্ত্রী সকাল সাড়ে ৭টায় যাবেন বনানীতে। সেখানে ১৫ আগস্টের শহীদের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেখান থেকে ফিরে প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি গোপালগঞ্জ যাবেন। টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে তারা শ্রদ্ধা জানাবেন। সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, শোক দিবস উপলক্ষে সারাদেশে মিলাদ মাহফিল এবং তবারক বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে। তবারক বিতরণে বিশৃঙ্খলা যেন না হয় সেদিকে আমাদের নজর থাকবে। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। আর পতাকা আইন বাস্তবায়নের দিকে নজর থাকবে।
এফএন/এমআর