আমতলীতে টাকা ছাড়া নির্বাচনী ডিউটি মিলছে না আনসারদের

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে টাকা ছাড়া নির্বাচনী ডিউটি মিলছে না আনসারদের
রবিবার ● ২১ জুলাই ২০১৯


আমতলীতে টাকা ছাড়া নির্বাচনী ডিউটি মিলছে না আনসারদের

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

টাকা না দিলে আনসার সদস্যদের নির্বাচনের ভোট কেন্দ্রের ডিউটি মিলছে না। আমতলী উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসের লোকজনের চাহিদামত টাকা দিলেই মিলবে নির্বাচনী ডিউটি। এমন অভিযোগ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক আনসার সদস্যদের।
জানাগেছে, আগামী ২৫ জুলাই আমতলী উপজেলার আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে ৯টি ভোট কেন্দ্রের বাহিরে দায়িত্ব পালনের জন্য ১’শ ৫৩ জন আনসার সদস্য প্রয়োজন। প্রয়োজন অনুযায়ী আনসার সদস্য চেয়ে চিঠি দেয় উপজেলা নির্বাচন অফিস। সেই চিঠি অনুসারে ১’শ ৫৩ জন আনসারের তালিকা করা হয়। ওই তালিকা তৈরি করতে আমতলী উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসের আনসার কমান্ডার বশির উদ্দিনের মাধ্যমে প্রতি আনসার সদস্যের কাছ থেকে এক হাজার টাকা আদায় করেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। যারা টাকা দিয়েছে তারাই ওই তালিকায় স্থান পেয়েছে। টাকা না দিলে সেই আনসার সদস্যের ওই তালিকায় নাম নেই।  রবিবার আনসার ভিডিপি অফিসের সামনে কয়েকজন আনসার সদস্য ডাক চিৎকার করতে দেখাগেছে। তারা বলেন, আমরা টাকা দেইনি তাই আমাদেও নাম তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করেনি। প্রত্যেক আনসার সদস্যের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে নিয়ে আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তালিকায় নাম দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, আনসার ভিডিপি অফিসের আনসার কমান্ডার মোঃ বশির উদ্দিনের মাধ্যমে আনসার ভিডিপি অফিসার মোঃ আল আমিন এ টাকা আদায় করে তালিকা করছেন। যারা টাকা দিয়েছে তাদেরই নাম তালিকায় উঠেছে। তারা আরো বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এই কাজ করেছেন তারা।
নাচনাপাড়া গ্রামের ফরিদা বেগম বলেন, আমি তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্তির জন্য বশিরের কাছে ৬’শ টাকা দিয়েছি। তারপরও আমার নাম তালিকায় নেই। তিনি আরো বলেন, আমি ঢাকার সফিপুর আনসার ক্যাম্পে এক মাসের প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত আনসার। আমার নাম তালিকায় উঠে না। আর অনেকে মাত্র মৌলিক প্রশিক্ষন দিয়ে আনসার হয়েছে, তাদের নাম ঠিকই উঠছে।  আনসার ভিডিপি অফিসের লোকজনের চাহিদা মত টাকা না দিলে ডিউটির তালিকায় নাম উঠে না।
আমতলী ফেরিঘাট এলাকার আনসার সদস্য খলিলুর রহমান বলেন, টাকা না দিয়ে কেউ আনসারের ডিউটিতে যেতে পারে না। আনসার সদস্যের প্রত্যেককেই টাকা দিতে হয়।
আড়পাঙ্গাশিয়া গ্রামের আব্বাস বলেন, বশিরকে আমার দাদা টাকা দিয়েছে। তাই আমার নাম তালিকায় অর্ন্তভুক্ত হয়েছে।
আনসার কমান্ডার মোঃ বশির উদ্দিন টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি আপনার ছোট ভাই আমি এমন কাজ করিনি।
আনসার ভিডিপি অফিসার মোঃ আল-আমিন টাকা নিয়ে তালিকা তৈরির কথা অস্বীকার করে বলেন, কেউ টাকা নিয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:১৮:৫০ ● ৬৩৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ