আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
আমতলী উপজেলার আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর ১০ সমর্থককে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর সমর্থকরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার ছোটনীলগঞ্জ গ্রামে।
জানাগেছে, আসন্ন আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬নং ওয়াডের ইউপি সদস্য প্রার্থী মোঃ হাসানুজ্জামান ইউনুস মোল্লা উপজেলার ছোট নীলগঞ্জ গ্রামে সুলতান গাজীর বাড়ীতে নির্বাচনী অফিস করেছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মোতাহার উদ্দিন মৃধার সমর্থক নান্নু হাওলাদার, কালু হাওলাদার ও জসিম হাওলাদার তার পক্ষে প্রচারনায় জন্য ওই অফিসে যায়। এ খবর পেয়ে আওয়ামীলীগ প্রার্থী মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধার ৫০/৬০ জন সমর্থক তাদের প্রতিহত করতে ইউপি সদস্যের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা করে। এমন অভিযোগ ইউপি সদস্য প্রার্থী মোঃ হাসানুজ্জামান ইউনুস মোল্লা। তাদের হামলায় নারীসহ ১০ জন আহত হয়। গুরুতর আহত নান্নু হাওলাদার , কালু হাওলাদার, নাসিমা বেগম, রাজিয়া বেগম, মেহেদী হাসান, কামাল মোল্লা ও শাহ আলম মোল্লাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ওই রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আহত নান্নু ও কালূ হাওলাদার বলেন, আমার ইউপি সদস্য প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে ঢোকার সাথে সাথে নৌকার ৫০/৬০ সমর্থক এসে আমাদের মারধর করেছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী গৌড়াঙ্গ হাজড়া বলেন, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ইউপি সদস্য প্রার্থী মোঃ হাসানুজ্জামান ইউনুস মোল্লা বলেন, আমি ইউপি সদস্য পদে নির্বাচন করি। আমার নির্বাচনী অফিসে চেয়ারম্যান প্রার্থীর যে কোন সমর্থক আসতে পারে। শুক্রবার রাতে ঘোড়ার সমর্থকরা আমার অফিসে আসলে নৌকা প্রতিকের সমর্থকরা আমার অফিসে হামলা করেছে। এতে আমার স্ত্রী, পুত্র, ভাই, ভাইয়ের ছেলে ও ভাইয়ের বৌসহ ১০ জন আহত হয়েছে।
বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, ভোট চাওয়ার অপরাধে নৌকার ৫০/৬০ জন সমর্থক আমার ১০ কর্মী-সমর্থদের মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আওয়ামীলীগ প্রার্থী মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, একজন ইউপি সদস্যের নির্বাচনী কার্যালয়ে কেন আমার সমর্থকরা হামলা চালাবে? স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকেরা হামলা চালিয়ে আমার উপরে তার চায় চাপাচ্ছেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানাই।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আবুল বাশার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৫ জুলাই।
এমএইচকে/এমআর