শেখ কামাল সেতুর সংযোগ সড়কে অটো-স্ট্যান্ডে ভোগান্তি
প্রথম পাতা »
সর্বশেষ »
শেখ কামাল সেতুর সংযোগ সড়কে অটো-স্ট্যান্ডে ভোগান্তি
বৃহস্পতিবার ● ১৮ জুলাই ২০১৯
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥
বিশাল এলাকাজুড়ে কলাপাড়া পৌরসভা একটি আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন বাসস্ট্যান্ড করেছে। অথচ কুয়াকাটাগামী মহাসড়কের শেখ কামাল সেতুর প্রবেশদ্বারে সংযোগ সড়ক দখল করে করা হয়েছে অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ড। করা হয়েছে অটো কিংবা ভাড়াটে মোটরসাইকেল স্ট্যান্ড। ২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি শেখ কামাল সেতু উদ্বোধনের পর থেকে মহাসড়ক কিংবা সেতুর সংযোগ সড়ক দখল করে বাস শ্রমিকরা এমন স্ট্যান্ড করেছে।
সেতুর সংযোগ সড়কের দুই পাশেই স্ট্যান্ড করায় সবসময় যানজট লেগে থাকে। ঘটছে দুর্ঘটনা। কুয়াকাটায় যাওয়া আসার যানবাহন এখানে এসে আটকে যায়। থামাতে হয়। মূলতঃ চাদাবাজির জন্য এ কাজটি করছে শ্রমিকরা। নির্দিষ্ট বাসস্ট্যান্ড থাকলেও এসব করা হচ্ছে। যেন কোথাও কোন শৃঙ্খলা নেই সড়কে।
এ জনপদে বরিশাল বিভাগের বাইরের পর্যটক-দর্শনার্থীবাহী যানবাহন আসলে বিস্ময়দৃষ্টে তাকিয়ে দেখেন মগের মুল্লুকের দৃশ্যপট। কেউ কারও কথা শুনছে না। বছরের পর বছরজুড়ে এমন অরাজক পরিস্থিতি নিরসনে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার উপজেলা কিংবা পুলিশ প্রশাসন সবাই রয়েছেন নির্বিকার। এ কারণে সরকারি দলের ভাবমুর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। যাত্রীরা বরিশাল কিংবা পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটায় আসলেও কলাপাড়ায় শেখ কামাল সেতুর প্রবেশদ্বারে কমপক্ষে আধাঘন্টা আটকে থাকেন। খামখেয়ালীপনায় কুয়াকাটায় যেতে বিড়ম্বনার শেষ নেই। অন্তহীন ভোগান্তি লাঘবে যাত্রীসহ পর্যটকরা প্রতিবাদ করলে তাদের লাঞ্ছিত করা হয়।
সম্প্রতি আলীপুর থেকে কুয়াকাটা যাওয়ার পথে যাত্রীরা বাস শ্রমিকদের বেধড়ক মারধরের শিকার হন। অহরহ বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা চলছে যাত্রী বহনে। কুয়াকাটা থেকে পটুয়াখালী ফেরিবিহীন সড়ক পথের দুরত্ব মাত্র ৭০ কিলোমিটার অথচ: এ পথে সময় লাগায় বাস শ্রমিকরা প্রায় আড়াই ঘন্টা। যেখানে সর্বোচ্চ দেড় ঘন্টা লাগার কথা। কুয়াকাটা থেকে সকাল সাতটার বাসটি পটুয়াখালীতে পৌছায় প্রায় ১০টায়। একই দশা কুয়াকাটায় যাওয়ার পথে। এলাকার মানুষের দাবি বরিশাল কিংবা পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটায় যাওয়ার আসার যাত্রীবাহী বাসসহ যানবাহন নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডবিহীন যত্রতত্র থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা বন্ধসহ সড়কের মধ্যে স্ট্যান্ডগুলো বন্ধ করা হোক। বিশেষ করে শেখ কামাল সেতুর সংযোগ সড়ক দখল করে স্ট্যান্ড অপসারন করা হোক। এমনকি টেবিল চেয়ার বসিয়ে রাস্তার ওপরে বসে টিকিট কাটা হয়।
এমইউএম/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ১৭:১৭:২৩ ●
৩৫৫ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)