মঠবাড়িযায় জেলেদের ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

প্রথম পাতা » পিরোজপুর » মঠবাড়িযায় জেলেদের ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ
রবিবার ● ১৪ জুলাই ২০১৯


মঠবাড়িযায় জেলেদের ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

পিরোজপুর সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বলেশ্বর নদের জেলে পুনর্বাসনের ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বড়মাছুয়া ইউনিয়ন পরিষদ জেলেদের ভিজিএফ চাল বিতরণে পরিমাপে কম দেওয়া ও পরিবহন খরচের নামে জেলেদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করায় ক্ষুব্দ জেলেরা অভিযোগ করেছেন। এ অনিয়মের প্রতিবাদ করায় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে বেল্লাল খন্দকার (২৮) নামের এক জেলেকে মারধর করা হয়। এ নিয়ে জেলেদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

শুক্রবার (১২ জুলাই) দুপুরে উপজেলার বড়মাছুয়া ইউনিয়ন পরিষদে সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, চলতি বছর  জাটকা রক্ষা কর্মসূচির আওতায় বলেশ্বর নদ তীরবর্তী ৩৬০জন জেলেদের নামে বরাদ্দকৃত বিশেষ ভিজিএফ এর চাল বিতরণ করা হয়। বিগত ফেব্রুয়ারী, মার্চ, এপ্রিল ও মে এ চার মাসে জনপ্রতি জেলে ৪০ কেজি করে চার মাসে মোট ১৬০ কেজি চাল পাওয়ার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসারের অনুপস্থিতে ৯০ কেজি চাল জেলেদের বিতরণ করতে দেখা যায়। এতে জনপ্রতি ৭০ কেজি চাল কম বিতরণ করা হয়। পরে সাংবাদিকদের চাপের মুখে ঘাটতি ও পরিবহন খরচ বাবদ-১০কেজি কমে প্রতি জেলেকে ১৫০ কেজি করে চাল বিতরণ শুরু করেন।

স্থানীয় ৬নং ওয়ার্ডের উত্তর বড়মাছুয়া গ্রামের  জেলে আফজাল আকনের স্ত্রী ফাতিমা বেগম(৩৫) অভিযোগ করেন, শুক্রবার সকালে চাল বিতরণে পরিবহন খরচ বাবদ সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য ২০০টাকা এবং ট্যাক্স বাবদ ১০০টাকা মোট তিনশ টাকা নিয়ে চালের স্লিপ দেন। কিন্তু  ট্যাক্সের টাকা গ্রহনের রসিদ দেননি। ওই টাকা না দিলে চাল দিবেননা বলে জানালে বাধ্য হয়ে টাকা দেই।

২নং ওয়ার্ডের বাসিন্ধা জেলে কবির বেপারী (৪৫) অভিযোগ করেন, চাল কার্ডের জন্য তার কাছ থেকেও দুইশ টাকা নিয়েছেন স্থানীয় চৌকিদার।

এ বিষয় সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন বলেন, তুষখালী গুদাম হতে বড়মাছুয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত প্রায় একশ মেট্রিক টন চালের পরিবহন ও শ্রমিক খরচ হয় ৯৫ হাজার টাকা। ওই ব্যয় মিটানোর জন্য হয়ত এ অর্থ নেওয়া হয়েছে।  এছাড়া ইউনিয়নে ৯৫০ জন কার্ডধারি জেলের মধ্যে ৩৬০ জনের চাল এসেছে। ফলে জেলেদের চাল কমদিয়ে এডজাস্ট করে উদ্বৃত্ত চাল বাকি জেলেদের মাঝে ভাগ করে দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি.এম. সরফরাজ বলেন, জেলের কাছ থেকে অবৈধ টাকা নেয়ার কোন সুযোগ নেই। উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় চালের ঘাটতি ও পরিবহন খরচ বাবাদ প্রতি জেলের(৪০কেজি) চাল থেকে দুই কেজি করে চাল কম দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। অভিযোগের  বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরএইচএম/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৮:১৫:০৭ ● ৫০৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ