ইসলামী পর্যটনকে বিশ্ব বাণিজ্যের ব্র্যান্ড করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রথম পাতা » জাতীয় » ইসলামী পর্যটনকে বিশ্ব বাণিজ্যের ব্র্যান্ড করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বৃহস্পতিবার ● ১১ জুলাই ২০১৯


ইসলামী পর্যটনকে বিশ্ব বাণিজ্যের ব্র্যান্ড করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামি পর্যটনকে বিশ্ব বাণিজ্য ব্র্যান্ড হিসেবে বিকশিত করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া আহবান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলামী পর্যটনকে ‘বিশ্ব বাণিজ্য ব্র্যান্ড’ হিসেবে গড়ে তুলতে সার্বিক প্রয়াস ও রোডম্যাপের প্রয়োজন অতিজরুরি। কারণ এর বাজার বার্ষিক ৮ দশমিক ৩ শতাংশ হারে বেড়ে ২০২১ সাল নাগাদ তা ২৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে।
তিনি বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ঢাকা দ্য ওআইসি সিটি অব ট্যুরিজম-২০১৯’ উদযাপন উপলক্ষে দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে এ আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি মুসলিম উম্মাহর একসাথে কাজ করা একান্তভাবে প্রয়োজন। যাতে আমরা সারা বিশ্বে সকলের সাথে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একসাথে চলতে পারি। নিজেদের যেকোন সমস্যা নিজেরাই সমাধান করতে পারি। যাতে করে অন্য কেউ মুসলমানদের ভাগ্য নিয়ে খেলতে না পারে। তিনি আন্তঃ-ওআইসি পর্যটক প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংস্থাটির সদস্যভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভিসা সহজীকরণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং পর্যটনকেন্দ্রিক খাতগুলোর মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের ওপরও বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে ওআইসিভূক্ত দেশগুলোর মুসলিম পর্যটক এবং পাশ্চাত্য দেশগুলোর জন্য বিশ্বের সববৃহৎ বালুময় সমুদ্রতট কক্সবাজারে পৃথক পর্যটন স্পট তৈরির প্রস্তাব করেন। তিনি বঙ্গপোসাগরের নিকটবর্তী দেশগুলোকে নিয়ে বাংলাদেশের একটি নৌট্যুরিজম রুট তৈরীর পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আর এ এম ওবায়দুল মুকতাদির চৌধুরী, মন্ত্রণালয়টির সচিব এম মহিবুল হক এবং ওআইসি’র সহকারী মহাসচিব মুসা কুলাকলিকায়া অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে ৪শ’ বছরের প্রাচীন নগরী ঢাকার মুসলিম ঐতিহ্য ও নিদর্শন নিয়ে একটি অডিও ভিজুয়াল পেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় দপ্তর ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সাবেক মন্ত্রী ও উপদেষ্টাসহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং হাইকমিশনারগণ, কূটনৈতিক মিশনের সদস্যবৃন্দ, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি এবং অনুষ্ঠানে যোগদানকারী প্রায় ৩০টি দেশের পর্যটন মন্ত্রী ও তাদের প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি, ঢাকায় ওআইসি’র পর্যটন মন্ত্রীদের ১০ম সম্মেলনে গৃহীত ঢাকা ঘোষণায় ঢাকাকে ওআইসি সিটি অব ট্যুরিজম-২০১৯ হিসেবে নির্বাচন করা হয়। ৪ ওআইসিভূক্ত রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শীর্ষস্থান দখল করে ঢাকা। সম্মেলনে বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আজারবাইজানের ’গাবালা’কে ২০২০ সালের সিটি অব ট্যুরিজম হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ঢাকাকে সিটি অব টুরি‌্যজম ঘোষণাকে উদযাপনের জন্য বৃহস্পতিবার এবং আগামীকাল শুক্রবার বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিদেশি পর্যটকদের জন্য ঢাকা ও এর আশপাশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক মুসলিম নিদর্শনগুলো পরিদর্শন, কনসার্ট এবং হাতির ঝিলে লেজার শো এবং আতশবাজীর প্রদর্শন করা হবে।
ওআইসি’র ২০১৮ সালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে মুসলিম ট্যুরিস্টের সংখ্যা ১৫৬ মিলিয়ন যা ২০২০ সালে বেড়ে দাঁড়াবে ১৮০ মিলিয়ন। একই বছর সারা বিশ্বের জনসংখ্যার ২৬ শতাংশ হবে মুসলিম। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে ‘ইসলামী অর্থনীতি’ সম্পর্কে বলেন, এটি বর্তমানে নবরূপে বিকাশ লাভ করছে। হালাল ফুডস, ইসলামি ফাইন্যান্স, হালাল ফার্মাসিউটিক্যালস এবং প্রসাধনী, হালাল পর্যটন ইত্যাদি হচ্ছে ইসলামিক অর্থনীতির ক্রমবর্ধমান খাত। এ খাতগুলো বিকাশের জন্য ওআইসি সদস্যভূক্ত রাষ্ট্রসমূহের সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতের সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব একান্ত প্রয়োজন’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা ওআইসি পর্যটন নগরী ২০১৯’র মহা-উদযাপন আন্তঃওআইসি পর্যটক প্রবাহ বৃদ্ধি এবং টেকসই পর্যটন উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে। যা সংস্থাভূক্ত রাষ্ট্রসমূহের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে বিনিয়োগের সুযোগ উন্মোচন ও টেকসই উন্নয়নের প্রয়োজনীয় বিষয়টি মক্কা মুকাররমায় বিগত ৩১ মে অনুষ্ঠিত ওআইসির ১৪তম সম্মেলনে গুরুত্বের সঙ্গে স্বীকৃত হয়। মক্কা ঘোষণায় ওআইসি রাষ্ট্রসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যৌথ ইসলামি কর্মপন্থা গ্রহণের বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত হয়।
তিনি বলেন, এরআগে ২০১৮ সালের ৫ ও ৬ই ফেব্রুয়ারি, ঢাকায় অনুষ্ঠিত ওআইসি সদস্যভুক্ত পর্যটন মন্ত্রীদের ১০ম সম্মেলনে গৃহীত ঢাকা ঘোষণায় আন্তঃসাংস্কৃতিক বিনিময়, সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও ইসলামি পর্যটন জনপ্রিয় করার গুরুত্ব স্বীকার করা হয়। একইসঙ্গে পর্যটন খাতে দক্ষতা, উন্নয়ন ও সার্টিফিকেশনের জন্য একটি ইনস্টিটিউট স্থাপনের গুরুত্ব অনুধাবন করা হয়। তাঁর সরকারের সময়ে সারাদেশের অবকাঠামো ও যোগাযোগ সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে পর্যটন শিল্পের বিকাশে বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে প্রমত্তা পদ্মানদীর ওপর ৬.১৫ কি.মি. দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। পর্যটন নগরী কক্সবাজারে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে। সেইসাথে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মানের হোটেল নির্মাণ ও অন্যান্য পর্যটন সুবিধাও থাকবে। জিডিপি ৮ দশমিক ১৩ শতাংশে উন্নীত, মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৯০৯ ডলারে উন্নীত, মূল্যস্ফীতি কমানো এবং বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গ্রাজুয়েশন লাভের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের সমপর্যায়ে উপনীত হওয়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আশা করছি, ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি’র লক্ষ্য পূরণে সক্ষম হব। তিনি বলেন, আমাদের স্বপ্ন পূরণে পর্যটন খাতের বিকাশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে। এ ক্ষেত্রে ইসলামি পর্যটন আমাদের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত যেখানে আমাদের সবার একত্রে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ এবং রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বৈচিত্র্যপূর্ণ পর্যটন স্পটের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিশ্বের সর্ববৃহৎ অখ- সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার, ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন, প্রাচীন ও আধুনিক প্রতœতাত্ত্বিক ও ইসলামীক স্থাপনা ইত্যাদি বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ। শেখ হাসিনা বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে প্রায় চারশত বছরের প্রাচীন শহর ঢাকা গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্যের জন্য সুপ্রসিদ্ধ। এখানে রয়েছে আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লা, কার্জন হল, ঢাকার অদূরের পানাম নগরসহ উল্লেখযোগ্য প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন। তিনি বলেন, ঢাকা মসজিদের শহর হিসেবে সুপ্রসিদ্ধ। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম-এর নকশা পবিত্র মক্কা নগরীর কাবা শরীফের আদলে তৈরি করা হয়েছে। শুধুমাত্র মুসলিমদের জন্যই নয়, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য ঢাকায় রয়েছে বিখ্যাত আর্মেনিয়ান গির্জা, ঢাকেশ্বরী মন্দির, প্যাগোডা এবং রোজ গার্ডেন সহ সুন্দর সুন্দর স্থাপনা। বাংলাদেশ মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সৌহার্দ্য ও সমৃদ্ধি রক্ষায় সব সময় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হজ্জের পর মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত যা ‘বিশ্ব ইজতেমা’ নামে পরিচিত তা প্রতিবছর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, নগর হিসেবে ঢাকা শুধু পুরানো নয়, এই নগরকে ঘিরে শিল্পী বা সৃজনশীল মানুষের বিপুল সমাবেশ হয়েছিল। যেমন ঢাকার মসলিন, যা সমগ্র বিশ্বে সমাদৃত ছিল। বর্তমানে ভৌগোলিক নির্দেশক অর্জন করায় ঢাকার জামদানী শাড়ি সারাবিশ্বে আমাদের পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার পাদপীঠ হিসেবে ঢাকার ভূমিকা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর ফেব্রুয়ারিতে মাসব্যাপী বইমেলা আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। বাংলা বর্ষের প্রথম দিন ‘নববর্ষ’ জাঁতি ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালির জাতীয় উৎসব হিসেবে উদযাপিত হয়। একইসঙ্গে সুস্বাদু খাবার এবং আতিথেয়তার জন্যও ঢাকার সুনাম রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণের শুরুতে ঐতিহ্য ও আতিথেয়তার শহর ঢাকায় ওআইসিভুক্ত রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের আগমনের জন্য তাদের প্রতি শুভেচ্ছা জানান এবং ২০১৯ সালের জন্য ওআইসি সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রসমূহের পর্যটন নগরী হিসেবে ঢাকাকে নির্বাচিত করায় কৃতজ্ঞতা এবং আনন্দ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, একইসঙ্গে ইসলামি রাষ্ট্রসমূহের পর্যটন মন্ত্রীদের ১০ম সম্মেলনের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বাংলাদেশ দুই বছরের জন্য চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালন করছে। ওআইসি ভুক্ত রাষ্ট্রসমূহের পর্যটন শিল্পের বিকাশে শেখ হাসিনা তাঁর পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতা পুণর্ব্যক্ত করেন। তিনি এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় ৪ নেতা, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং সম্ভ্রমহারা ২ লাখ মা-বোন এবং ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের সকল শহীদকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। শেখ হাসিনা বলেন, দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন, দেশের উন্নয়ন ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও যোগাযোগ অত্যন্ত জরুরি। মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর কল্যাণে ১৯৭৪ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ওআইসি সম্মেলনে তিনি যোগদান করেন এবং বাংলাদেশ ওআইসি’র সদস্যপদ লাভ করে। তখন থেকে মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব, ন্যায়বিচার, সহমর্মিতা, অন্তর্ভুক্তি ইত্যাদি ইসলামি মূল্যবোধ অনুসরণে মুসলিম একতা ও সংহতি সুপ্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা পর্যটন খাতের সম্ভাবনা উপলব্ধি করেন এবং ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর সরকারও দ্রুত বর্ধনশীল এ খাতের উন্নয়নের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, পর্যটন খাতের টেকসই উন্নয়নের জন্য জাতীয় পর্যটন নীতিমালা ২০১০ প্রণীত এবং একই বছর বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, শিল্প নীতি-২০১০ এ পর্যটনকে একটি শক্তিশালী খাত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক উদ্যোক্তাদের সরকার এ খাতে বিনিয়োগ সুবিধা প্রদান করছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২২:০৯:৪৪ ● ৭৫৮ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ