ঝালকাঠি সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সুবিধাভোগী আলেয়া বেগম নিজেই জানেন না তার নামে ২০১৭-১৮ অর্থ বছর থেকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে ভিজিডির চাল উত্তোলন করা হচ্ছে। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মো. শাহজাহান গাজীর স্ত্রী।

আলেয়া বেগম জানান, সরকারি সাহায্য পেতে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর খানসহ চেয়ারম্যান, মহিলা সদস্যের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিয়ে ছবিসহ ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি তাদের অনেকের কাছে দিয়েছিলেন। কিন্তু কেউ তাকে কোনো সরকারি সাহায্য পাইয়ে দেননি।

তিনি জানান, চলতি বছর নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) যোগদানের পরে ভিজিডির তালিকায় বিধি লঙ্ঘন করে নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে জানতে পেরে ৫১৩টি কার্ডের মধ্য ৮৪টি বাতিল করে নতুন করে তালিকা করতে পুনরায় বাছাই করা হয়। এবার প্রাথমিক বাছাই তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। এরপর চূড়ান্ত বাছাইকালে দেখা যায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে তার নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং নিয়মিত তার নামে চাল উত্তোলন করা হয়েছে। যার সিরিয়াল নম্বর ছিল ৩৪৯।

ক্ন্তিু আলেয়া বেগম নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি প্রতি মাসে কে তার নামের চাল উত্তোলন করেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার চেয়ে তিনি ইউএনও বরাবর একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর খান জানান, আলেয়া বেগমের নাম তালিকায় ছিল কি-না তা তার জানা নেই।

এদিকে ইউএনও মো. সোহাগ হাওলাদার জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রমাণের অভাবে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।

কেই/এমআর