আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরগুনার তালতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিদ্রা বাজারে ব্যানার পোষ্টার ছেড়াকে কেন্দ্র করে বুধবার রাত সাড়ে ৮ টায় দিকে আওয়ামীলীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর ও উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন ঘটনাস্থলে পৌছলে উত্তোজিত কর্মী সমর্থকরা তার গাড়ী ভাংচুর করেছে। ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ী ভাংচুরের ঘটনায় তালতলী থানায় মামলা হয়েছে। গুরুতর আহতদের পটুয়াখালী মেডিকেল ও বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জানাগেছে, বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার নিদ্রা বাজারে আওয়ামীলীগ প্রার্থী মোঃ রেজবি-উল কবির জোমাদ্দারের ব্যানার ও পোষ্টার ছিড়ে ফেলে বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ মনিরুজ্জামান মিন্টুর সমর্থকরা। এ নিয়ে উভয় পক্ষের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় উভয় পক্ষ লাঠিসোটা ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। ঘন্টাব্যাপী দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। মুহুর্তের মধ্যে সকল দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের সমর্থকরা আওয়ামীলীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ও স্থানীয় মিরাজ মিয়ার মৎস্য আড়ৎ ঘর ভাংচুর করেছে। দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত দেলোয়ার মোল্লা, কাওসার, আল-আমিন, কবির মোল্লা,আলী আজগর খান, সগির আকন ও রাসেল আকনসহ ১২ জনকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাকির হোসেন ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় উত্তেজিত কর্মী সমর্থকরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ভাড়ী ভাংচুর করেছে। ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ী ভাংচুর ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ে তালতলী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নিদ্রা বাজারে আওয়ামীলীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর কয়েকজন কর্মী সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় উভয় পক্ষ লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। মুহুর্তের মধ্যে সকল দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন আওয়ামীলীগ প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর করে। পরে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা বিদ্রোহী প্রার্থীর অফিস ভাংচুর করেছে।
আওয়ামীলীগ প্রার্থী মোঃ রেজবি-উল-কবির জোমাদ্দার বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ মনিরুজ্জামান মিন্টু ও ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজীর নেতৃত্বে তার কর্মী সমর্থকরা পরিকল্পিতভাবে আমার ব্যানার, পোষ্টার ছিড়ে ফেলেছে এবং আমার নির্বাচনী কার্যালয় ও মৎস্য আড়ৎঘর ভাংচুর করে করেছে।
বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেন, নৌকার প্রার্থী জনশুন্য হয়ে পরেছে। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্শান্নিত হয়ে নৌকার কর্মী সমর্থকরা আমার সমর্থকদের উপর হামলা করেছে। তিনি আরো বলেন, লাউপাড়া বাজারের জনসভা শেষে রেজবির লোকজন আমার কর্মী সমর্থকদের বাড়ীতে গিয়ে হামলা করেছে। এতে আমার ১০/১২ জন কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে। তিনি আরো বলেন নৌকার লোকজন আমার দুটি গাড়ী ভাংচুর করেছে।
তালতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুর রহমান বলেন নৌকা ও আনারস প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ওই সময় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ী ভাংচুর করা হয়। গাড়ী ভাংচুরের ঘটনায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
এমএইচকে/এমআর