ঈদের আগে খালেদার মুক্তি দাবি খন্দকার মোশাররফের

প্রথম পাতা » রাজনীতি » ঈদের আগে খালেদার মুক্তি দাবি খন্দকার মোশাররফের
শনিবার ● ১ জুন ২০১৯


ঈদের আগে খালেদার মুক্তি দাবি খন্দকার মোশাররফের

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

মানবিক কারণে ঈদের আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
শনিবার (১ জুন) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়াউর রহমানের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ। খন্দকার মোশাররফ বলেন, দেশের মানুষ আস্তে আস্তে উত্তেজিত হচ্ছে, বিক্ষিপ্ত হচ্ছে। জনগণের সামনে কোনো শক্তি দাঁড়াতে পারেনি, আগামীতেও পারবে না। তাই সরকারের কাছে দাবি করছি, ঈদের আগেই মানবিক কারণে হলেও খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, তারেককে লাফালাফি করতে না করো, নইলে ওর মা আর কখনোই কারাগার থেকে মুক্তি পাবে না। এটা থেকেই বোঝা যায় আইনি নয়, রাজনৈতিক কারণে খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, সরকার বিএনপিকে দুর্বল করার জন্য নানাভাবে অপপ্রচার করছে। বিএনপি আগের মতোই শক্তিশালী আছে। তবে ক্ষমতার কাছে নীতি-নৈতিকতা পরাস্ত। তাই এখান থেকে পরিত্রাণের জন্য জিয়াউর রহমানের আদর্শ নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, এ সংকটকালীন জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাহলেই আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের দাবি আদায় করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, গণতন্ত্রের জননী খালেদা জিয়া কারাগারে কষ্ট করছেন। মাত্র দুই কোটি টাকাকে কেন্দ্র করে এমনটি করা হয়েছে। অথচ প্রধানমন্ত্রীর কাছের লোকজন দুই হাজার কোটি টাকা বা তার চেয়েও বেশি নিয়ে যাচ্ছে তার কোনো শাস্তি হচ্ছে না। আজ মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা চলে যাচ্ছে, এসব টাকার কি হবে বলে তিনি জানতে চান।
তিনি বলেন, কোনো ষড়যন্ত্র করে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেননি। ক্ষমতার শূন্যতা ও জনগণের প্রয়োজনে তিনি দায়িত্বগ্রহণ করেন। দেশে যখন সবদল নিষিদ্ধের মাধ্যমে বাকশাল প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, সেখান থেকে আওয়ামী লীগকে পুনর্জীবিত করেছিলেন জিয়াউর রহমান। বাকশাল গঠন করে ৪৩টি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান এসব রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। তিনি গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন এজন্যই তাকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা বলা হয় বলেও জানান তিনি। বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহ্সানুল হুদার সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম, ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকন ও আবু নাসের মো. রহমত উল্লাহ প্রমুখ।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২৩:২০:৫৬ ● ৩৩১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ