কলাপাড়ায় পাউবোর শত কোটি টাকার জমিতে দখল সন্ত্রাস

প্রথম পাতা » কুয়াকাটা » কলাপাড়ায় পাউবোর শত কোটি টাকার জমিতে দখল সন্ত্রাস
শুক্রবার ● ৩১ মে ২০১৯


কলাপাড়ায় পাউবোর শত কোটি টাকার জমিতে দখল সন্ত্রাস

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

টিনশেড ঘর নির্মাণ ও জলাশয় করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ধানখালী মৌজার এস এ খতিয়ান ১৪৯ এর ৭১১ নম্বর দাগের জমি দখল চেষ্টার অভিযোগে নোটিশ দেয়া হয়েছে এবলাচ হাওলাদারকে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান ১৯ মে উচ্ছেদ নোটিশ দিয়েছেন। সাত দিনের মধ্যে ওই দখল ছেড়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত (৩১ মে) দখলদার তার টিনশেড স্থাপনা অপসারন করেনি। অন্তত পাচ শতক জমি এভাবে দখলের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন এবলাচ হাওলাদার।
কলাপাড়া পৌরশহরের হেলিপ্যাড মাঠের পুর্বদিকে পাউবোর জমিতে একটি স্থাপনা তোলা বন্ধ করতে জনৈক জসিম প্যাদার বিরুদ্ধে পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ২০১৮ সালের ৯ জুন কলাপাড়া থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। একবার এ কর্মকর্তা নিজে গিয়ে কাজ বন্ধ করেছিলেন। কিন্তু বন্ধ থাকেনি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ। খেপুপাড়া মৌজার ৬৩৭ নম্বর দাগে এ স্থাপনাটি তোলা হয়েছে। পাউবোর অফিসের কাছেই এ স্থাপনা তোলা হয়েছে।
পাউবোর কলাপাড়া অফিসের পেছনে উত্তরদিকের জমিতে তোলা পাকা, সেমিপাকা ও টিনশেড স্থাপনা তোলা হয়েছে অসংখ্য। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এসব দখলদার ২৯ জনের নামের তালিকা করে উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু করেন ২০১৮ সালের ৩১ মে। ২৭৮ খতিয়ানের ৬০৬, ৬০৯ ও ৬১১ নম্বর দাগের অন্তত ৪০ শতক জমি এরা দখল করে এসব স্থাপনা তুলেছেন। যার বর্তমান মূল্য অন্তত পাঁচ কোটি টাকা। কুয়াকাটায় পাউবোর ডাক বাংলোর পাশের বাউন্ডারি দেয়া জায়গা দখল করছে সেখানকার এক প্রভাবশালী আব্দুর রশিদ হাওলদার। পাউবোর দেয়াল ভেঙ্গে এ জমি দখল চলছে।
পাউবোর কলাপাড়াস্থ উপবিভাগীয় প্রকৌশলী কুমার স্বস্তিক জানান, তিনি এ দখলদারকে দখল ছেড়ে ভাঙ্গা দেয়াল মেরামত করে দেয়ার জন্য সাত দিনের সময় বেধে দিয়েছেন। কিন্তু যেই সেই। দখলদার রয়েছেন নিরাপদে। নেয়া হয়নি কার্যকর কোন পদক্ষেপ। এভাবে মহিপুর মৎস্য বন্দরের পাউবোর পুরনো অফিসসহ আবাসিক বিশাল এলাকার এক পাশ দিয়ে দখল করে তোলা হচ্ছে টিনশেড স্থাপনা। একই অবস্থা কলাপাড়ার ১২টি ইউনিয়নসহ দুইটি পৌরসভার। মোট কথা পাউবোর অধিগ্রহণ করা অন্তত শত কোটি টাকার জমি বেদখলে চলে যাচ্ছে। দখলদাররা কেউ বাড়িঘর কেউবা বহুতল স্থাপনা তুলছে। পাউবোর কর্মকর্তাদের গতানুগতিক বক্তব্য তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন। ফলে সরকারের শত কোটি টাকার মূল্যবান সম্পত্তি স্থায়ীভাবে বেহাতের প্রবল শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এমইউএম/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৪৩:২৬ ● ৪০১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ