কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥
চাঁদা না পেয়ে বালু সরবরাহের বাল্কহেডের মেশিন ভাংচুর করা হয়েছে। পাইপ কেটে টুকরা টুকরা করে দেয়া হয়েছে। লালুয়ায় বালু সরবরাহকারী একটি সাব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বাল্কহেড ভাংচুরের ঘটনা ঘটে বৃহস্পতিবার দুপুরে। মারধর করা হয়েছে ৫/৭ জন। বখাটে একটি নতুন কিশোর সন্ত্রাসী গ্রুপ এমন হামলা-তান্ডব চালায়। বালিয়াতলীর মুসার নেতৃত্ব হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীর। কিছুদিন আগে জাতীয় পর্যায়ের নির্মাণ প্রতিষ্ঠান এনডিই এর গাড়ি আটকে ভাংচুর চালানো হয়, নেয়া হয় প্রায় ৩০০ লিটার তেল।
মালবাহী ট্রাক আটকে প্রতিনিয়ত চাঁদা আদায় চলছে ধানখালীর নোমরহাট সেতুতে। একটি চিহ্নিত চক্র নিয়মিত চাদা আদায় করছে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। সাগরে মাছ ধরবেন কিংবা নদীতে, দিতে হবে মাসোহারা। খেয়ার ইজারা দিতে হবে চাঁদা। সম্পত্তির দখল নিয়ে বিরোধ চাঁদার বিনিময় সমাধান। ধানখালীর লোক লোক সরবরাহের ব্যবসা, দিতে হবে চাঁদা। সেখানকার বিদ্যুত প্লান্টের ভাঙ্গারি ব্যবসা (টুকরা রডসহ লোহা-লক্কর) নিয়ে তো রীতিমতো তুলকালাম কান্ড ঘটে গেছে। সবই চলছে এখন প্রকাশ্যে। স্লুইসের গেটে জালপাতার ঘটনায় পর্যন্ত চাঁদার প্রসঙ্গ উঠে আসছে। জমি দখল করা কিংবা জমির দখল মুক্ত করা, দুটোই চলছে চাঁদার বিনিময়। যেন নিয়ন্ত্রণহীন চাদাবাজীর জনপদে পরিণত হয়েছে কলাপাড়া।
কলাপাড়ায় রয়েছে নির্মানাধীন পায়রা সমুদ্র বন্দর, শের-ই-বাংলা নৌঘাটি। অন্তত সাতটি বিদ্যুত প্লান্ট প্রকল্প। একাধিক কোল টার্মিনাল নির্মান কাজ চলমান রয়েছে। আর ঠিক এসময় হঠাৎ করে কিশোর, তরুণ একটি চক্র বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। তাদের দৌরাত্মে জনজীবনে এক অসহনীয় অবস্থা বিরাজ করছে। নিয়ন্ত্রণ হারা এ চক্র সরকারের ভাবমুর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন করে বেড়াচ্ছে। এদের রাজনৈতিক বড়-ছোট কোন পরিচয় নেই। এরা সরকারি দলের স্বঘোষিত নেতা পরিচয়ে মানুষের স্থির জীবনকে অস্থির করে তুলেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমানের হস্তক্ষেপে বড় চাঁদাবাজির স্পট শেখ কামাল সেতুর সংযোগ সড়কে কুয়াকাটাগামী যানবাহন থামিয়ে চাঁদাবাজির ঘটনা অনেক কমেছে। কিন্তু এখন গ্রামেগঞ্জে চাঁদাবাজ গ্রুপের দৌরাত্মে মানুষ অস্থির হয়ে আছে। ভুক্তভোগী মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তারা উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এসব চাঁদাবাজ গ্রুপকে দমনে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছেন।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম ও মহিপুর থানার ওসি সাইদুল ইসলাম জানান, তাদের কাছে সুনর্দিষ্ট অভিযোগ আসলে তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
এমইউএম/এমআর