ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক চর্চায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে।
তিনি বুধবার (২৯ মে) সিঙ্গাপুর পার্লামেন্টের স্পিকার তান চুয়ান জিনের সঙ্গে তাঁর পার্লামেন্ট কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এ কথা বলেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশের প্রবৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ১ শতাংশ, দারিদ্রের হার ৪০শতাংশ থেকে ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। সরকার জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট প্রণয়ন করেছে, যেখানে নারী ও শিশুদের জন্য মন্ত্রণালয় ভিত্তিক আলাদা বাজেট রাখা হচ্ছে।
সাক্ষাতে তাঁরা সংসদীয় চর্চা, ব্যবসা-বাণিজ্য, রোহিঙ্গা ইস্যু, জলবায়ু পরিবর্তন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও ডিজিটাল রূপান্তর ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি, দু’দেশের সংসদ সদস্যদের সফর ও অভিজ্ঞতার বিনিময়ের মাধ্যমে এ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ২০০৯ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য নিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়ন, নারী নেতৃত্ব ও নারী উদ্যোক্তা তৈরীতে সরকার যুগোপযোগী পরিকল্পনা ও নীতি বাস্তবায়নের ফলে সব ক্ষেত্রে নারীদের উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। স্বল্প সময়ে বাংলাদেশের অর্জন অনন্য।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ৫০টি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি রয়েছে, যা নির্বাহী বিভাগের কাজে অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে। কমিটির সভাপতি হিসেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর পরিবর্তে একজন সংসদ সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। এর মাধ্যমে সংসদীয় চর্চায় নব অধ্যায় সূচিত হয়েছে। জাতীয় সংসদে ৩০০জন সংসদ সদস্য জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত এবং ৫০জন সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচিত হন।
স্পিকার বলেন, অনুন্নত অবস্থা থেকে আজ সিঙ্গাপুর উন্নত দেশ, যা বাংলাদেশকে অনুপ্রাণিত করে। নিকট ভবিষ্যতে বাংলাদেশও উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের, ২০২৪সালে পরিপূর্ণভাবে উন্নয়নশীল দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মি.তান চুয়ান জিন বলেন, বর্তমান বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডিজিটাল রূপান্তরের বিকল্প নাই। তিনি বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায়ন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের উন্নয়নে সিঙ্গাপুরের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ সময় মি.তান চুয়ান জিন সিঙ্গাপুর পার্লামেন্টের কার্যক্রম সম্পর্কে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে অবহিত করেন।
স্পিকার বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উত্থাপিত ৫ দফা প্রস্তাবের ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসন চায় বাংলাদেশ। এ সময় মি.তান চুয়ান জিন রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে উল্লেখ করেন।
এ সময় আ, ফ, ম রুহুল হক এমপি, মো: ইসরাফিল আলম এমপি, মীর মোশতাক আহমেদ রবি এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, আয়েশা ফেরদাউস এমপি, ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, অ্যারোমা দত্ত এমপি, নাহীদ ইজহার খান এমপিসহ সিঙ্গাপুর পার্লামেন্টের সংসদ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এফএন/এমআর