ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥
খালেদা জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলার মতো অমানবিক আওয়ামী লীগ সরকার নয় বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (২৪ মে) আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকম-লীর এক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন্তব্য করেন। দুর্নীতির মামলায় দ- নিয়ে কারাগারে থাকা খালেদা জিয়াকে সরকার সুচিকিৎসা না দিয়ে মৃত্যুর পথে ঠেলে দিচ্ছে বলে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ। এর জবাবে কাদের বলেন, আমি এতটুকু বলতে চাই, শেখ হাসিনার সরকার অমানবিক নয়। বেগম জিয়া আইনগত কারণে হয়ত কারাগারে রয়েছেন, কিন্তু তাকে বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলতে হবে, এ ধরনের অমানবিক ও নিষ্ঠুর কাজ সরকার করবে না।
ভারতে নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন বিজেপির জয়ের পর বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা চুক্তিসহ অন্যান্য অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মোদীর এবারের সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন হবে- এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবার ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছেন, স্পেকুলেশনকেও ছাড়িয়ে গেছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন বার্তাও পাঠিয়েছেন। বিগত মোদী সরকারের আমলে আমাদের সঙ্গে অনেক অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান হয়েছে। আমরা আশা করি আমাদের সঙ্গে তিস্তা যুক্তিসহ অমীমাংসিত বিষয় যেগুলো রয়েছে, সেগুলোর সমাধানের প্রক্রিয়াটা আরও দ্রুত হবে।
সম্পাদকম-লীর সভায় মুজিব বর্ষ পালনে আওয়ামী লীগ নেতাদের সাংগঠনিক সফর নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কাদের বলেন, মুজিব বর্ষের কর্মসূচি মোটাদাগে পালনের কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। আর আমাদের জাতীয় সম্মেলন সারাদেশে তৃণমূল পর্যন্ত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে আমাদের দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
দলের কাউন্সিল ঘিরে সুবিধাবাদীদের অনুপ্রবেশের বিষয়ে তিনি বলেন, সুযোগসন্ধানীরা চিরদিন এটা করে থাকে। আমাদের দলের সিদ্ধান্ত পরিষ্কার পরীক্ষিত, ত্যাগী নেতাকর্মীদের সংগঠন তৃণমূল থেকে নেতৃত্বে আনা হবে। কোনোখানে কোনো সুযোগ সন্ধানীর স্থান হবে না। সম্পাদকম-লীর সভায় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, আইন বিষয়ক সম্পাদক ও গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সাত্তার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, বন বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, মারুফা আক্তার পপি।
এফএন/এমআর