রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রত্যাহার

প্রথম পাতা » জাতীয় » রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রত্যাহার
বুধবার ● ২২ মে ২০১৯


রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রত্যাহার

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণাধীন আবাসন প্রকল্পের আসবাবপত্রসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজে ‘অস্বাভাবিক’ ব্যয়ের অভিযোগ ওঠার পর প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমকে প্রত্যাহার করেছে সরকার।
গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন বুধবার (২২ মে) বলেন, অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় মাসুদুল আলমকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়মে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে কি না জানতে চাইলে শাহাদাৎ হোসেন বলেন, বিষয়টি তদন্ত কমিটি তদন্ত করছে।”
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের নির্মাণাধীন ভবনের আসবাবপত্রে ‘অস্বাভাবিক’ ব্যয়ের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ দেখে রোববার মন্ত্রণালয় দুটি তদন্ত কমিটি করে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, রূপপুর প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য নির্মাণাধীন গ্রিনসিটি আবাসন প্রকল্পের জন্য আসবাবপত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্র কেনায় ওই দুর্নীতি হয়েছে। সেখানে একটি বালিশের পেছনে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৬ হাজার ৭১৭ টাকা। এর মধ্যে বালিশের দাম ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা, আর আর সেই বালিশ ফ্ল্যাটে ওঠানোর খরচ ৭৬০ টাকা দেখানো হয়েছে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যায় বলা হয়, গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মাণাধীন ছয়টি ভবনে আসবাবপত্রসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজের জন্য দাপ্তরিক প্রাক্কলন প্রণয়নপূর্বক ছয়টি প্যাকেজে ই-জিপিতে দরপত্র আহবান করা হয়। প্যাকেজসমূহের প্রতিটির ক্রয়মূল্য ৩০ কোটি টাকার নিম্নে প্রাক্কলন করায় গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদন ও ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। এ ক্ষেত্রে দাপ্তরিক প্রাক্কলন প্রণয়ন, অনুমোদন ও ঠিকাদার নিয়োগে মন্ত্রণালয়ের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের পাওনা পরিশোধ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সে সময় জানানো হয়।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:২৯:৫৫ ● ৩৯৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ