ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥
রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র প্রসঙ্গে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এখানে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির খবরে দুদকের কোনো তৎপরতা নেই।
সোমবার (২০ মে) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, উন্নয়নের কথা বলে রাজনৈতিক উচ্চভিলাষ বাস্তবায়িত করা হচ্ছে মহাদুর্নীতির ওপর ভর করে। রূপপুর আণবিক প্রকল্পে বালিশ, কেটলিসহ প্রকল্পের বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনার মহাদুর্নীতির খবরে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। প্রকল্পে কর্মরত মালি-ড্রাইভারের বেতন লাখ টাকার কাছাকাছি। যা শুধু নজিরবিহীনই নয়, এটি একটি জাহাজমার্কা দুর্নীতিরই বিরাট দৃষ্টান্ত। বিএনপির এই মুখপাত্র দাবি করেন, হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির খবরে দুদকের কোনো তৎপরতা না থাকার কারণ দুদক বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের দমন এবং ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতি মোছার যন্ত্র হিসেবে কাজ করে আসছে। দেশব্যাপী বিভিন্ন সেক্টরে দুর্নীতি ও লুটপাটের যে মহৌৎসব চলছে তাতে ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতারা জড়িত বলেই এগুলোর কোনো বিচার হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে দুদক নখদন্তহীন নিশ্চল নির্বিকার প্রাণীর ভূমিকা পালন করছে।
রিজভী অভিযোগ করেন, সরকারের ইচ্ছায় সাজানো মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। রিজভী বলেন, গত চারদিন ধরে কোনো রকমে জাউ ভাত খেয়ে বেঁচে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার মুখে ঘা হয়ে ফুলে গেছে। জিহ্বা নাড়াতে পারছেন না। তিনি শয্যাশায়ী। এই রমজানে জেলে তার অবস্থা বিপজ্জনক পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, অন্যায়ভাবে ‘গণতন্ত্রের মা’ খালেদা জিয়াকে বন্দি করে গণতন্ত্রকে চূড়ান্তভাবে সমাহিত করেছে এই সরকার। গণতন্ত্রের এই অকাল প্রয়াণে শোক জানাতেও মানুষ ভয় পাচ্ছে। কারণ গুম, খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যার রক্তপাতের মাধ্যমে যে পিশাচের রাজত্ব কায়েম হয়েছে, তাতে মানুষ শঙ্কিত।
রিজভী বলেন, আইনি-প্রক্রিয়া ও প্রশাসনকে আঁচল বন্দি করে জেলের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে অমানবিক কায়দায় তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে তাকে প্রাণনাশের নীলনকশা বাস্তবায়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির অন্যান্য শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে নয়াপল্টনে মিছিল করে জাতীয়তাবাদী যুবদল। রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে মিছিলটি দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিংগেল মোড় ঘুরে আবার কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
এফএন/এমআর