ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির নেতৃত্ব এখন ভাড়াটিয়া নেতাদের হাতে। ভাড়াটিয়া নেতারাই এখন বিএনপি চালাচ্ছেন।
সোমবার (২০ মে) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিএনপির নেতৃত্ব খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাতে নেই। তাই দীর্ঘদিন ধরে দলটি ভাড়া করা নেতা দিয়ে চলছিলো। নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণে দলটির এ দৈন্যদশা হয়েছে।
সোমবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, বহুদিন ধরে বিএনপির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন ড. কামাল হোসেন। এখন দৈন্যদশা কাটাতে নতুন করে নেতা ভাড়া করবে কি না সেটা বিএনপি-ই ভালো জানে। কেননা গত নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি কামাল হোসেনের নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এখন নতুন নেতৃত্ব নিয়ে তাদের ভাবতে হবে।
তিনি বলেন, তারেক রহমান দ-প্রাপ্ত আসামি। তিনি পালাতক, দেশের বাইরে থেকে দলের নেতৃত্ব দেয়া যায় না। গত নির্বাচনে তারা যোগ্য নেতৃত্ব দিতে পারেনি। নেতৃত্ব বাছাইয়ে তারা ভুল করেছে। একই সঙ্গে নির্বাচনে মননোয়ন বাণিজ্যের কারণে তাদের ভরাডুবি হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে লন্ডন পর্যন্ত এ বাণিজ্য হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার জিহ্বায় ঘা হয়েছে। ফলে তিনি জাউ ভাত খাচ্ছেন। অসর্তকতাবশত তার জিহ্বায় কামড় লেগে এ ঘায়ের সৃষ্টি হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ডাক্তাররা তাকে দেখে বলেছেন- তার জিহ্বায় ছোট একটু ঘা হয়েছে। ফলে তিনি স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছেন না। ওষুধ দেয়া হয়েছে, দ্রুত সেরে যাবে। এ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। খালেদা জিয়ার শাস্তি আদালতে হয়েছে। বিশেষ কোনো ট্রাইব্যুনালে বা দ্রুত কোনো বিচারে হয়নি। বরং তারা আদালতকে বছরের পর বছর হেনস্তা করেছে। এখানে আইনকে প্রভাবিত করার কোনো সুযোগ ছিলো না। তারা (বিএনপি) যেসব অভিযোগ করেন-এর কোনো ভিত্তি নেই, যোগ করেন হাছান মাহমুদ।
ধানের দাম নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। আমাদের খাদ্য শস্য উদ্বৃত্ত রয়েছে। দেশে বর্তমানে তিনগুণের বেশি জনসংখ্যা বেড়েছে। তারপরও আমাদের খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকে। এজন্য বর্তমান সরকারকে বিএনপির ধন্যবাদ দেয়া উচিৎ। তারা ধানের দাম বাড়ানোর কথা বলতে পারতো। তবে সরকার ইতোমধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে। শিগগির চাল রফতানি করা হবে। পাশাপাশি চাল আমদানিকে নিরুৎসাহিত করা হবে। সম্প্রতি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে একজন অতিরিক্ত সচিব এবং গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে একজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে পৃথক দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওযার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এফএন/এমআর