আমতলীতে সংখ্যালঘুর জমি দখলের অভিযোগ

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে সংখ্যালঘুর জমি দখলের অভিযোগ
শনিবার ● ১৮ মে ২০১৯


আমতলীতে সংখ্যালঘুর জমি দখলের অভিযোগ

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

আমতলীর গুলিশাখালী ইউনিয়নের কলাগাছিয়া বাজার সংলগ্ন আবাসনের সামনে সুকুমার চন্দ্র শীলের পৈত্তিক রেকর্ডীয় জমি দখল করে জোরপূর্বক ঘর তুলছেন স্থানীয় হানিফ বিশ্বাস।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, গুলিশাখালীর কলাগাছিয়া গ্রামের মৃত্যু ধলূ চন্দ্র শীলের কলাগাছিয়া মৌজার ১৬ নং খতিয়ানের, ৩৬ নং দাগের তিনকাঠা ১২ শতাংশ রেকর্ডীয় সম্পত্তির মধ্য থেকে ব্যবসা করার জন্য তার পুত্র সুকুমার চন্দ্র শীল গত ৩০ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে ৫ বছরের জন্য ১০ হাত দৈর্ঘ্য ও ৮ হাত প্রস্তের একটি প্লটের মাটি ভাড়া বার্ষিক ২ হাজার টাকা চুক্তিতে হানিফ বিশ্বাসের নিটক ভাড়া দেয়। তখন সেখানে হানিফ বিশ্বাস মাটি ভরাট করে ঘর তুলে সিমেন্ট বালুর ব্যবসা করে। গত ৬ মাস পূর্বে হানিফ সিমেন্টের ব্যবসা বন্ধ করে সেখানে একটি ওয়ার্কসপ ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী মেরামত করা মেকানিকের কাছে ভাড়া দেয়। মাটি ভাড়ার চুক্তির শর্ত এতদিন ঠিকঠাকভাবে চলছিল। হঠাৎ গত ১০ মে হানিফ বিশ্বাস ভাড়া নেয়া জমির চার পাশে আরও জমি বাড়িয়ে মাটি ভরাট করতে শুরু করে। এতে সুকুমার বাঁধা দেয়। তখন হানিফ বলে এটা সরকারী জমি। তুমি বাঁধা দিতে কে সরকারের সাথে আমি বুঝবো। এর ২ দিন পরে সেখানে হানিফ বিশ্বাস ঘর তুলে ফেলে। শুধুমাত্র উপড়ের ছাউনী দেয়া বাকী আছে। বিষয়টি তখন সুকুমার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আমতলী থানায় জানায়। পরে পুলিশ গিয়ে ঘর উঠানোর কাজ বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে হানিফ বিশ্বাস ও তার লোকজন বাড়াবাড়ি না করতে সুকুমারকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে সুকুমার জানান।
এ ব্যাপারে সুকুমার চন্দ্র শীল জানান, আমার পৈত্তিক সম্পতির একটা অংশ মাটি ভাড়া হিসেবে হানিফ বিশ্বাসের কাছে লিখিত চুক্তিতে বাসৎরিক দুই হাজার টাকায় ৫ বছরের জন্য ভাড়া দিয়েছি। সেই জমি চারদিক থেকে বাড়িয়ে মাটি ফেলে দখল করে জোর পূর্বক ঘর তুলতেছে। আমি এতে বাঁধা দিলে আমাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে হানিফ বিশ্বাস ও তার লোকজন।
গুলিশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এ্যাড. মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন জমির মালিক সুকুমার চন্দ্র শীল না পানি উন্ন্য়ন বোর্ড তা আমার জানা নেই। তবে সুকুমার চন্দ্র শীল ভোগ দখলে আছে সেটা আমি জানি। এখন ওখানে ঘর উঠানো আপাতত বন্ধ আছে।
স্থানীয় বাসিন্ধা হাকিম গাজী, পরিচয় চন্দ্র শীল জানান, এই জমি পৈত্তিক সূত্রে মালিক সুকুমার চন্দ্র শীল। এ জমির একটা অংশ মাটি ভাড়া হিসেবে হানিফ বিশ্বাস সুকুমারের কাছ থেকে ব্যবসা করার জন্য নিয়েছে।
অভিযুক্ত হানিফ বিশ্বাস সুকুমারের কাছ থেকে জমি ভাড়া নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন আমি জোরপূর্বক জমি দখল করিনি ও তাদের ভয়ভীতিও দেখাচ্ছিনা। শুধু চারদিকে বারান্দা দেওয়ার জন্য ঘরের কাজ শুরু করছিলাম। ওসি সাহেব এসে বলছে আমি ঘরের বর্ধিত বারান্দার অংশ সরিয়ে নিয়েছি।
আমতলী থানার ওসি আবুল বাশার বলেন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি নিজে আজ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের বর্ধিত অংশ ভেঙ্গে হানিফ বিশ্বাসকে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছি।

এসজেএস/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৪৪:৪৯ ● ৪২৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ