ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥
বিএনপির আগে যে জনসমর্থন ছিল, সরকারের অত্যাচার ও নির্যাতনের কারণে এ জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
শুক্রবার (১৭ মে) বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা-২০১৯ উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন খন্দকার মোশাররফ। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বিএনপির আগে যে জনসমর্থন ছিল, সরকারের অত্যাচার-নির্যাতনের কারণে এ জনপ্রিয়তা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা যদি এখন দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করি, তাহলে দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।
খন্দকার মোশাররফ আরো বলেন, সব দিক থেকে সরকার বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তিনি বলেন, কৃষকরা তাদের ধানের মূল্য পাচ্ছে না। একারণে তাদের পাকা ধান পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। এটা আমাদের বাংলাদেশের জন্য খুবই অশুভ সংকেত। আর এটা ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। কিন্তু সরকার এটা পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে। ড. মোশাররফ আরো বলেন, সরকার বলছে ধানের সরকারি মূল্য ২৫ থেকে ৩০ লাখ টন। অথচ খাদ্য মন্ত্রণালয় চাল বিদেশ থেকে রপ্তানি করার চেষ্টা করছে। অপরদিকে সরকার বিদেশ থেকে চাল আমদানি করছে। এখানে আমাদের প্রশ্ন, চাল তো মজুদ আছে। আর যেখানে কৃষক পাকা ধান পুড়িয়ে ফেলছে, সেখানে কৃষকের কাছ থেকে যদি একটু উঁচু দামে ধান কেনা হতো তাহলে তো কৃষক ধান পুড়িয়ে দিতো না।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, গুঞ্জন আছে- বাংলাদেশ থেকে যারা টাকা বিদেশে পাঁচার করে দিতে চাচ্ছেন, তাদের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য চাল আমদানির ঘটনা ঘটছে। সুতরাং ধান মজুদ থাকার পরও কেনো চাল আমদানি করা হচ্ছে? কারণ, এখানে টাকা পাচারের ষড়যন্ত্র আছে। আর যারা এটা করছে, তারা বর্তমান সরকারের ব্যবসায়ী, খোঁজ নিয়ে দেখেন। মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি সংকটে নেই। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার তার ইশারায় এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সরাসরি নির্দেশে আমরা স্থায়ী কমিটির সদস্যরা দল পরিচালনা করছি। প্রতি বছর বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এবছর তিনি কারাগারে থাকায় তার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
ড. মোশাররফ বলেন, আজকে বাংলাদেশের মানুষ নিরাপদ নয়। মানুষের কোনো শান্তি ও কথা বলার অধিকার নেই। দেশে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার নেই। সুতরাং একটি দেশে যদি গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার না থাকে তাহলে ধর্ম-কর্মের অধিকার কি থাকে? তাই আজকে ধর্ম-কর্মের অধিকারও নাই। কারণ আজকে বাংলাদেশকে ধর্মহীনতা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিএনপির সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক ভিসি ড. এমাজ উদ্দিন আহমেদ, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. সুকোমল বড়ুয়া, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, বরকত উল্লাহ বুলু, সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক জন গোমেজ, নির্বাহী কমিটির সদস্য অমলেন্দু বিকাশ অপু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এফএন/এমআর