কলাপাড়ায় ঠিকাদারসহ নির্মাণ শ্রমিকদের হামলা, শিক্ষক লাঞ্ছিত

প্রথম পাতা » সর্বশেষ » কলাপাড়ায় ঠিকাদারসহ নির্মাণ শ্রমিকদের হামলা, শিক্ষক লাঞ্ছিত
শনিবার ● ১১ মে ২০১৯


---

কলাপাড়া সাগরকন্যা অফিস॥
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারে বাধা দেয়ায় ঠিকাদারের উপস্থিতিতে নির্মাণ শ্রমিকদের হাতে শিক্ষক মো. আইয়ুব আলী লাঞ্ছিত ও তার ছেলে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের আরামগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে। এ ঘটনায় শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ সৃস্টি হয়েছে। এঘটনায় উত্তেজিত গ্রামবাসী শ্রমিকদের উপর চড়াও হয়।
হামলার শিকার সহকারি শিক্ষক মো. আইয়ুব আলী জানান, পিডিবি-৪ প্রকল্পের আওতায় আরামগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয় তিন মাস আগে। দীর্ঘদিন ধরে নিম্নমানের সিমেন্টসহ অন্যান্য উপকরণ দিয়ে ভবন নির্মাণ কাজ করছিল। শনিবার দুপুরে বিদ্যালয় ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শুরু করে ঠিকাদার মো. নুরুল আলমসহ অন্যান্যরা। ঢালাইয়ে বালু ছয় ফারা, পাথর ছয় থেকে সাত ফারা এবং পুরাতন ও নিম্নমানের সিমেন্ট এক ব্যাগ দিয়ে ঢালাই মিক্সার মেশিনের মাধ্যমে মিক্স করে ছাদ ঢালাই করছিল। প্রকৃত পক্ষে বিদ্যালয়ের ছাদ ঢালাইয়ের জন্য চার ফারা পাথর, দুই ফারা বালু এক ব্যাগ সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই দেয়ার কথা। এ কাজের প্রতিবাদ করায় ঠিকাদার নুরুল আলম এর উপস্থিতিতে নির্মাণ শ্রমিক মো. এরশাদের নেতৃত্বে ওই শিক্ষকের ওপর হামলা চালায়। পিতাকে রক্ষা করতে গিয়ে হামলার শিকার হয় ছেলে মো. তারেক আমীন সুমন (২৫)। আহত শিক্ষক আইয়ুব আলীকে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং ছেলে তারেক আমীন সুমন কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
আহত সুমন জানায়, আমার পিতাকে লাঞ্চিত করার বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে ঠিকাদার মো. নুর আলমের উপস্থিতিতে শ্রমিকরা আমার উপর হামলা চালায়। বর্তমানে ওই কাজ বন্ধ রয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঠিকাদার মো. নুরু মিয়ার সঙ্গে মোবাইলে গণমাধ্যম কর্মীরা যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ঢালাই কাজে বাধা দেয়ায় শিক্ষক ও শিক্ষক পুত্রের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে। তবে তারা ও গ্রামবাসী আমাদের শ্রমিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তবে এবিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা চলছে। উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান জানান, তিনি সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর রহমান জানায়, নিম্নমানের সিমেন্ট এবং নির্ধারিত পরিমানের বেশি ঢালাই উপকরন মিক্স করে বিদ্যালয়ের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করা নিয়ে শিক্ষক লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা শুনে তাতক্ষনিক নির্মান কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি তিনি নিজেই সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৭:৪৮ ● ৫৮৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ