ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥
দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দশদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে দলের এক যৌথসভা শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আগামী ২২ থেকে ৩১ মে এসব কর্মসূচি পালন করা হবে।
কর্মসূচির মধ্যে আছে ৩০ মে সকাল সাড়ে ১০টায় জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও মিলাদ, সকাল থেকে নয়া পল্টনের কার্যালয়ের ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ঢাকায় দুস্থদের মধ্যে কাপড় ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ, ছাত্রদলের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়াউর রহমানের ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন নিজেদের সুবিধামতো আলোচনা সভা, ইফতার সামগ্রী বিতরণ করবে। এ ছাড়া জেলা ইউনিটগুলো আলাদা কর্মসূচি নেবে। ৩০ মে বিএনপি নয়া পল্টনের কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ বুকে ধারণ করবেন। নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই যৌথ সভা হয়। ১৯৮১ সালে ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর কিছু সদস্যের অভ্যুত্থানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন। দিবসটি উপলক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে বিএনপি পোস্টার প্রকাশ করবে। সংবাদপত্র ও অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশ করবে বিশেষ ক্রোড়পত্র।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা। একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমরা যথাযোগ্য মর্যাদায় তাঁর ৩৮তম শাহাদাতবার্ষিকী পালন করব। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে রাখা হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, যিনি দীর্ঘকাল গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন, সেই নেত্রীকে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। শুধু গণতন্ত্রের কর্মী হওয়ায় গণতন্ত্রের বহু নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, সরকার বাংলাদেশের জনগণের সব অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশকে একটি অকার্যকর নির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করার পাঁয়তারা করছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, মাহবুবউদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, আসাদুল করীম শাহিন, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ। বিএনপির বিভিন্ন সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারাও সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এফএন/এমআর