এসএসসির কৃতি শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

প্রথম পাতা » জাতীয় » এসএসসির কৃতি শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
সোমবার ● ৬ মে ২০১৯


এসএসসির কৃতি শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥


প্রতিবার বোর্ড চেয়ারম্যানরা এসএসসি ও সমানের পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রীর হাতে। এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বাইরে থাকায় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ফলাফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন বোর্ড চেয়ারম্যানরা। পরে লন্ডন থেকে প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো একটি লিখিত বক্তব্য সংবাদ সম্মেলনে পড়ে শোনান শিক্ষামন্ত্রী। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীও কথা বলেন।
কৃতকার্য সকল শিক্ষার্থীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা কৃতকার্য হতে পারেনি আবার প্রস্তুত হয়ে পরীক্ষা দিলে ভালো করতে পারবে। মনে রাখবে তোমরাই আগামীর বাংলাদেশের কর্ণধার। তোমাদেরই এদেশের জনগণ এবং বিশ্বাবাসীর সেবায় নিয়োজিত হতে হবে। এজন্য জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রযুক্তি আয়ত্তের পাশাপাশি দেশপ্রেমিক এবং মানবিকতায় পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে হবে। সময়মত ফল ঘোষণা করায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
এবার আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৪ হাজার ৫৫৬ জন। গেলবার আটটি সাধারণ বোর্ড থেকে ৭৯ দশমিক ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ২ হাজার ৮৩৫ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের দাখিলে এবার ৮৩ দশমিক ০৩ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ২৮৭ জন। গেলবার মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৩ হাজার ৩৭১ জন।
এছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে এবার ৭২ দশমিক ২৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে, আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৭৫১ জন। এই বোর্ডে গতবার পাসের হার ছিল ৭১ দশমিক ৯৬ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪ হাজার ৪১৩ জন। প্রধানমন্ত্রী উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, যেসব শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারনি, আমি তোমাদের ধৈর্য্য ধরে, মনোযোগ সহকারে আবার প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে আগামীতে ভালোভাবে উত্তীর্ণ হতে পার। মানুষের অসাধ্য কিছুই নেই। একাগ্রতা, অধ্যবসায় এবং পরিশ্রম যেকোনো অসাধ্যকে সাধন করতে সহায়তা করতে পারে। তোমরা যারা যেকোনো কারণেই হোক উত্তীর্ণ হতে পারনি, তোমাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এখন থেকে চেষ্টা করলে ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই তোমরা এ বাধা অতিক্রম করে ভাল ফল অর্জন করতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বছর রেকর্ড ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৯৯ শিক্ষার্থী এসএসসি, দাখিল এবং সমমানের পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছিল। যেসব শিক্ষার্থী ভাল ফল করেছ, তোমাদের এই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ভবিষ্যতে আরও ভাল ফল করতে হবে। মনে রাখবে তোমরাই আগামীর বাংলাদেশের কর্ণধার। তোমাদেরই এদেশের জনগণ এবং বিশ্বাবাসীর সেবায় নিয়োজিত হতে হবে। এজন্য জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রযুক্তি আয়ত্তের পাশাপাশি দেশপ্রেমিক এবং মানবিকতায় পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আগামি প্রজন্মকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযোগী করে গড়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। প্রতি বছরের মতো এবার ফল ঘোষণার সময় উপস্থিত থাকতে না পারায় দুঃখও প্রকাশ করেন তিনি।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:১৭:৩২ ● ৪৩৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ