রেলওয়ের চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে ভাড়ায় আনা হচ্ছে ইঞ্জিন
প্রথম পাতা »
জাতীয় »
রেলওয়ের চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে ভাড়ায় আনা হচ্ছে ইঞ্জিন
ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥
বাংলাদেশ রেলওয়েতে ইঞ্জিনের তীব্র সঙ্কট বিরাজ করছে। বর্তমানে চলমান ট্রেনগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ ইঞ্জিন দ্বারা চালাতে গিয়ে সিডিউল ঠিক রাখা যাচ্ছে না। বরং প্রায় সময়ই চর্লক অবস্থায় ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ছে। রেলওয়ের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের ২ হাজার ৯২৯ কিলোমিটার রেলপথে মাত্র ২৭৩টি ইঞ্জিন দিয়ে ৩৫২টি যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনা করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে নতুন ট্রেন চালু এবং চলমান ট্রেনগুলোর চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে ২০টি ইঞ্জিন ভাড়ায় আনা হচ্ছে। মূলত ওসব ইঞ্জিন দ্বারা নতুন ট্রেন চালানো হবে। ওই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ভারতের রেলওয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ে সংশ্লিষ্টদের একাধিক বৈঠক হয়েছে। রেলপথ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চলতি বছরই বিদেশ থেকে আমদানি করা ২২০টি অত্যাধুনিক যাত্রীবাহী কোচ দেশে পৌঁছাবে। আর ওসব কোচ দ্বারা ১৫টি নতুন ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে রেলওয়ে। তবে সেক্ষেত্রে ইঞ্জিন সংকট সবচেয়ে বড় বাধা। সেজন্য ভারত থেকে ২০টি ইঞ্জিন ভাড়ায় আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই ইঞ্জিন ভাড়া দেয়ার দৃষ্টান্ত রয়েছে। সেক্ষেত্রে ইঞ্জিনপ্রতি প্রতিদিন ৩০ হাজার টাকা ভাড়া হতে পারে। ওই লক্ষ্যে দু’দেশের সরকার পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। তাছাড়া দক্ষিণ কোরিয়াসহ আরো কয়েকটি দেশ থেকে ইঞ্জিন আমদানির জন্যও অর্ডার দেয়া হয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে আমদানি করা ইঞ্জিনগুলো দেশে চলে এলে ভারতীয় ইঞ্জিনগুলো ফেরত দেয়া হবে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়ে বহরে চলতি বছরেই আরো ২০টি ব্রডগেজ ও ২০০টি মিটারগেজ কোচ যুক্ত হচ্ছে। পাশাপাশি কয়েক মাসের মধ্যে রেলপথমন্ত্রীর অন্তত ১৫টি নতুন ট্রেন চালুর নির্দেশনা রয়েছে। সেজন্য সাধারণ মানুষের চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে ২০টি ইঞ্জিন ভাড়ায় আনা হচ্ছে। কয়েক মাসের মধ্যে ঢাকা-পঞ্চগড়, ঢাকা-বেনাপোল রুটে অত্যাধুনিক দুটি দ্রুতগতির নতুন ট্রেন চালু করা হবে। একই সঙ্গে ঢাকা-সিলেট, সিলেট-চট্টগ্রাম, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে আরো ৩টি নতুন ট্রেন চালানো হবে। তাছাড়া চলতি বছরে জামালপুরবাসীর জন্য আরো ৪টি নতুন ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তাছাড়া ঢাকার আশপাশের জেলার সঙ্গে স্বল্প দূরত্বের বেশ কয়েকটি নতুন ট্রেনও চালু করা হবে। ২০০টি মিটারগেজ কোচ রেলবহরে যুক্ত হলে ঢাকা-সিলেট ও সিলেট-চট্টগ্রাম, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের পুরনো ও জরাজীর্ণ কোচ পাল্টে আধুনিকায়ন করা হবে।
সূত্র আরো জানায়, ইন্দোনেশিয়া থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ৫০টি যাত্রীবাহী কোচের মধ্যে ৩৩টি চলে এসেছে। বাকি ১৭টি কোচ চলতি মাসের মাঝামাঝিতে দেশে আসার কথা রয়েছে। ওই কোচগুলো নিয়ে অন্তত ৩টি নতুন ট্রেন চালানো যাবে। অপরদিকে ২০০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী বগির চালান জুন থেকে আসা শুরু করবে। সেগুলো চলে এলে মিটারগেজের ট্রেনগুলো চালু করা হবে।
এ প্রসঙ্গে রেলপথমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন জানান, চলতি বছরে বাংলাদেশ রেলওয়ের হাতে পর্যাপ্ত যাত্রীবাহী কোচ চলে আসবে। ওসব কোচ দিয়ে অন্তত ১৫টি নতুন ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তাছাড়া চলমান উন্নয়ন প্রকল্প এবং ৩০ বছর মেয়াদি মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন হলে রেলে আমূল পরিবর্তন আসবে।
এফএন/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৫৫:৩৪ ●
৩৬২ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)