আমতলী সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব পড়েনি পৌর শহরের চরাঞ্চলের পাঁচ হাজার মানুষের উপর। পৌর মেয়রের এ উদ্যোগে অবিভূত সাধারণ মানুষ।
জানাগেছে, ৪৩ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘূর্ণিঝড় ফণী বাংলাদেশে আঘাত হানার খবর প্রচারে যখন বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে সরব, ঠিক ওই সময় আমতলী পৌর বাসিকে নিরাপদে রাখতে উঠেপড়ে লেগে পড়েন আমতলী পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান। খবর শুনে ২ মে পৌর সভার সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছেন। মানুষকে সচেতন করার জন্য মেনে পরেন হ্যান্ড মাইক নিয়ে পৌর এলাকায়। পৌর শহরের অলিতে গলিতে ঘুরে ঘুরে মাইকিং করে মানুষকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর গুরুত্ব বুঝিয়ে সচেতন করে সাইক্লোন সেল্টারে যাওয়ার পরামর্শ দেন। শুক্রবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বৃষ্টি ও হালকা দমকা হাওয়া বইতে শুরু করলে পৌর কর্মচারীদের মাধ্যমে মানুষকে সরিয়ে সাইক্লোন সেল্টারে নিয়ে যান। আমতলী পৌর শহরের চরাঞ্চলের ৫ হাজার অতিদরিদ্র, দরিদ্র, জেলে ও বিভিন্ন পেশার মানুষকে নিজ উদ্যোগে সাইক্লোন সেল্টারে নিয়ে যান এবং সাইক্লোন সেল্টারে নিরিবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করেন। শুক্রবার গভীল রাতে প্রচন্ড বন্যা শুরু হলে পৌর কর্মকর্তা কর্মচারী দিয়ে পৌর শহরের সকল সাইক্লোন সেল্টারে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন। শনিবার সকালে শুকনা খাবার ও দুপুরে খেচুরী মানুষের মাঝে বিতরন করেছেন। পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমানের একান্ত প্রচেষ্টায় পৌরসভার চরাঞ্চলের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ টেরই পাননি ঘূর্ণিঝড় ফণীর তীব্রতা।
আমতলী পৌরসভার লঞ্চঘাট এলাকার চরাঞ্চলের বাসিন্দা মোসলেম গাজী জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণী টনি ট্যারই পাইনি। মোগো মেয়র মোগো সব ধরনের ব্যবস্থা হরছে। খাবার দেছে, আলো দেছে ও পানি দেছে। মোরা কইতেই পারি না বইন্যা ক্যারে কয়।
আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক,আমতলী পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব পরার পূর্বেই চরাঞ্চলের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষকে সাইক্লোন সেল্টারে এনেছি। ওই সাইক্লোন সেল্টারে বিদ্যুৎ, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করেছি। বন্যা শেষে চরাঞ্চলের মানুষকে শুকরা খাবার ও খেচুরী বিতরন করেছি। চরাঞ্চলের মানুষকে বুঝতেই দেইনি ঘূর্ণিঝড় ফণী প্রভাব। তিনি আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিডরে আমতলী ফেরিঘাটের কয়েকজন মানুষ অসচেতনতার কারনে মারা গিয়েছিল। ওই শিক্ষা থেকে এ বছর আমি প্রাণপণ ছেষ্টা করেছি পৌর শহরের কোন মানুষকে যাতে অকালে প্রাণ হারাতে না হয়।