ঘূর্ণিঝড় ফণী রাঙ্গাবালীতে শতাধিক ঘরবাড়ি ও প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত

প্রথম পাতা » সর্বশেষ » ঘূর্ণিঝড় ফণী রাঙ্গাবালীতে শতাধিক ঘরবাড়ি ও প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত
শনিবার ● ৪ মে ২০১৯


---

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
ঘূর্ণিঝড় ফণীর ছোবলে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় শতাধিক বসত ঘরবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানের  ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ২ হাজার ৮৫ হেক্টর জমির রবিশস্য নষ্ট হয়ে গেছে এবং  উপড়ে পড়েছে পাঁচ শতাধিক গাছপালা। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত দমকা বাতাস ও প্রবল বৃষ্টিপাতে এ ক্ষতি হয়। এদিকে, ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
জানা গেছে, কয়েক দফার দমকা বাতাস ও প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৩০টি বসতঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয় এবং ৯০টি বসতঘর-প্রতিষ্ঠান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এদিকে, শনিবার দুপুরে জোয়ারের তোড়ে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের মধ্য চালিতাবুনিয়া, বিবির হাওলা, গরুভাঙা ও চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআন্ডা গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। যদিও ভাটায় পানি কমে যাওয়ায় জনজীবনে স্বস্তি ফিরলেও ফসলি জমিতে পানি জমে আছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই ঝড়ে উপজেলার রাঙ্গাবালী, ছোটবাইশদিয়া, চরমোন্তাজ, বড়বাইশদিয়া ও চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নে ১৫৫০ হেক্টর মুগডাল, ২৫০ হেক্টর মরিচ, ৫ হেক্টর তিল, ২০ হেক্টর খরিপ-১ শাক-সবজি ও  ২৬০ হেক্টর বাদাম নষ্ট হয়ে গেছে। উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মামুন হোসেন বলেন, ‘ফণীর প্রভাবে জোয়ারের পানি বেড়ে  চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের মধ্য চালিতাবুনিয়া, বিবির হাওলা, গরুভাঙা ও চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআন্ডা এলাকার ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে কৃষি জমিতে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করায় ফসল উৎপাদনে স্থায়ী ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেই ক্ষতি যাতে না হয়, এজন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হবে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ফণীর তা-বে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার পরিমাণ নিরুপনের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান ও সকল দপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠির জবাব পেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে।’

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪৬:৫৯ ● ৪১৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ