বিমান ও স্থলবন্দরে ই-গেট বসানোর উদ্যোগ

প্রথম পাতা » প্রযুক্তি » বিমান ও স্থলবন্দরে ই-গেট বসানোর উদ্যোগ
শনিবার ● ৪ মে ২০১৯


বিমান ও স্থলবন্দরে ই-গেট বসানোর উদ্যোগ

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

দেশের ৩টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও ২টি স্থলবন্দরে স্থাপন করা হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি বা ই-গেট। ওই বন্দরগুলোতে ৫০টি ই-গেট স্থাপন হবে। ফলে ইলেকট্রনিক পাসপোর্টধারী যাত্রীরা মাত্র ১৫ সেকেন্ডে বিমানবন্দর বা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন পার হওয়ার সুযোগ পাবে। আর আগামী ১ জুলাই থেকেই দেশের নাগরিকদের ই-পাসপোর্ট দেয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু হয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ডাটা বেইসেও এদেশের নাগরিকদের ই-পাসপোর্টের ডাটা থাকবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশের নাগকিদের বিগত ২০১৭ সালেই ই-পাসপোর্ট দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হলেও বিভিন্ন কারণে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে কয়েক দফা পেছানোর পর আগামী ১ জুলাই থেকে নাগরিকদের ই-পাসপোর্ট দেয়ার জন্য কাজ চলছে। আর ওই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা। অনেক আগেই জার্মানির সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বেনাপোল ও বাংলাবান্দা স্থলবন্দরে ৫০টি ই-গেট স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। আর ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জার্মানির প্রতিষ্ঠান থেকে ই-গেট আনা হচ্ছে। শিগগিরই সেগুলো দেশে পৌঁছবে। তবে ৫০টি ই-গেটের মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সবচেয়ে বেশি বসানো হবে। ভিআইপি, ভিভিআইপি যাত্রী ছাড়াও শুধুমাত্র ২৪টি গেট সাধারণ যাত্রীদের ব্যবহারের জন্যই বসানো হতে পারে।
সূত্র জানায়, ই-পাসপোর্ট ই-গেটের একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখার সঙ্গে সঙ্গে গেট খুলে যাবে। নির্দিষ্ট নিয়মে গেটের নিচে দাঁড়ানোর পর ক্যামেরা ছবি তুলে নেবে। তারপর সব ঠিকঠাক থাকলে ১২-১৫ সেকেন্ডের মধ্যেই যাত্রী ইমিগ্রেশন পেরিয়ে যেতে পারবে। তবে কেউ যদি ভুল করে তাহলে লাল বাতি জ্বলে উঠবে। তখন সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সঠিকভাবে ই-পাসপোর্ট ব্যবহারে সহযোগিতা করবে।বর্তমানে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বা এমআরপি নিয়ে ইমিগ্রেশন পার হতে গেলে ১০-১৫ মিনিট বা কখনো আরো বেশি সময়ও লেগে যায়। ওই কারণে যাত্রীদেও লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কিন্তু ই-পাসপোর্ট থাকলে কয়েক সেকেন্ডে পার হওয়া সম্ভব হবে বলে এমন বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না।
সূত্র আরো জানায়, ই-পাসপোর্টের বিষয়টি নতুন হওয়ায় শুরুতে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার ই-পাসপোর্ট প্রিন্ট করার চিন্তা নিয়ে কার্যক্রম চলছে। ধীরে ধীরে ওই সংখ্যা বাড়ানো হবে। বর্তমানে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার পাসপোর্টের চাহিদা রয়েছে। ওই ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে ই-পাসপোর্ট দেয়া হবে। বর্তমানে বই আকারে যে পাসপোর্ট আছে, ই-পাসপোর্টেও একই ধরনের বই থাকবে। তবে বর্তমানে পাসপোর্টের বইয়ের শুরুতে ব্যক্তির তথ্যসংবলিত যে দুটি পাতা আছে, ই-পাসপোর্টে তা থাকবে না। সেখানে থাকবে পলিমারের তৈরি একটি কার্ড। এই কার্ডের মধ্যে থাকবে একটি চিপ। সেই চিপে পাসপোর্টের বাহকের তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। ই-গেটে চিপটি ব্যবহার করে দ্রুত ইমিগ্রেশন পার হওয়া যাবে।
এ প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান জানান, ইতিমধ্যে ই-গেট জার্মানি থেকে দেশে আসার পথে রয়েছে। আসার পরপরই পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপন করা হবে।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ৯:৫০:৪০ ● ২৮১২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ