ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥
উন্নয়ন কাজে চলতি অর্থবছরে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছে সরকার, আগামি অর্থবছরে তার চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি খরচ করতে চাইছে। আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করতে যাচ্ছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, অবকাঠামোর উন্নয়নের চাহিদার কারণে বরাদ্দ বাড়ছে।
চলতি অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের সময় এডিপিতে ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা রাখা হয়েছিল। তবে বিগত মার্চ মাসে এনইসি সভায় তা সংশোধন করে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। শতকরা হিসেবে আগামি অর্থবছরে এডিপিতে বরাদ্দ গতবারের মূল বরাদ্দের চেয়ে ১৫ শতাংশ এবং সংশোধিত বরাদ্দের চেয়ে ১৯ শতাংশ বেশি হচ্ছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আগামি অর্থবছরের জন্য যে এডিপির যে আকার প্রস্তাব করা হয়েছে, তার মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল বা দেশীয় সম্পদ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার ৯২১ কোটি টাকা জোগান আসবে বলে ধরা হচ্ছে। আগামি এডিপিতে দেশীয় সম্পদের এ জোগান মোট আকারের প্রায় ৬৫ শতাংশ। আর বৈদেশিক সম্পদ হিসেবে দাতাগোষ্ঠীর ঋণ ও অনুদানের মাধ্যমে এডিপির ৩৫ শতাংশ বা ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা আসবে বলে ধরা হচ্ছে। তবে এডিপির খাতভিত্তিক বরাদ্দ এখনও চূড়ান্ত হয়নি জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের এই সিলিং দিয়ে বরাদ্দ চূড়ান্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আমরা খাতভিত্তিক বরাদ্দ কার্য়ক্রম শুরু করেছি, এখনও চূড়ান্ত করতে পারিনি। বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনোই এডিপির ১০০ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়নি। প্রতিবারই বছরের শেষের দিকে এসে এডিপি কাটছাঁট করে কমানো হয়, যেমনটা এবারও হল। আবার সংশোধিত এডিপির পুরোটাও আবার বাস্তবায়ন হয় না।
বরাদ্দ বাড়ার বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম বিভাগের প্রধান মো. খলিলুর রহমান খান বলেন, দেশের উন্নয়ন চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের ব্যাপকভাবে অবকাঠামো তৈরি করা দরকার। অবকাঠামো তৈরির সেই চাহিদা পূরণের আকাক্সক্ষা থেকে এবারের এডিপির আকার দুই লাখ কোটি টাকা ছাড়াচ্ছে। তিনি বলেন, অবকাঠামোর গ্যাপ আছে তা আমরা পূরণ করার চেষ্টা করেছি। ওই গ্যাপ পূরণ করতে গিয়েই মূলত এডিপির আকার বেড়েছে। তাছাড়া প্রতিবছর বাজেট ও এডিপির আকার বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।
খলিল জানান, চলতি মে মাসের মাঝামাঝিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভা অনুষ্ঠিত হতে পারে। ওই সভায়ই নতুন অর্থবছরের জন্য এডিপির আকার চুড়ান্ত অনুমোদন পাবে।
এফএন/এমআর