কলাপাড়ায় ভাঙা টিনের ঘরে ঝুঁকিপূর্ণ পাঠদান

প্রথম পাতা » সর্বশেষ » কলাপাড়ায় ভাঙা টিনের ঘরে ঝুঁকিপূর্ণ পাঠদান
বুধবার ● ১ মে ২০১৯


---

এসকে রঞ্জন, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) থেকে॥
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পূর্ব টিয়াখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভাঙ্গা টিনসেড ঘরে চলছে ঝুঁকিপূর্ণ পাঠদান। ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। প্রতিদিন বেড়ার ভাঙা টিনে হাত পা কেটে রক্তাক্ত হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। আর সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবে যায় ঘরের মেঝে। বর্ষার আগে ঘরগুলো মেরামত করা না হলে পাঠদান বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমানে ওই স্কুলে ১২৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে ।
মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, পূর্ব টিয়াখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ টিনসেড ঘরে প্রথম সাময়ীক পরীক্ষায় অংশ নিতে উপস্থিত হয় শতাধিক শিক্ষার্থী। প্রধান শিক্ষীকা শাহিনা আকতার জানান, ১৯৯১ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ার পরে ২০১৪ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় সি গ্রুপে বিদ্যালয়টি সরকারী করা হয়। বর্তমানে স্কুলে ১২৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
অভিভাবক মো. পান্নু মোল্লা সাগরকন্যাকে বলেন, স্কুলেটিতে পড়া লেখার মান ভাল, তবে স্কুল ঘরটি ভাঙা থাকায় বাচ্চাদের স্কুলে পাঠিয়ে শংকিত থাকি। প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনার শিকার হয় কোন না কোন শিক্ষার্থী। গত মাসে ৫ম শ্রেণির ছাত্র ইমন ভাঙা মেঝেতে হোচট খেয়ে পড়ে বাম হাত ভেঙেছে। বেড়ার ভাঙা টিনে হাতের আঙ্গুল কেটে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী আশা মনির। ২য় শ্রেণির আরাফাত ও ফাতেমার হাত পা কেটে যায় টিনের ভাঙ্গা বেড়ায়।
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জামাল মোল্লা জানান, টিন সেড ঘরটি মেরামত করা খুবই জরুরী তা না হলে বর্ষা মৌসুমে পাঠদান বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। আমাদের স্কুলটি অবকাঠামোর দিক থেকে নানা সমস্যায় জর্জড়িত। পাঁকা ভবন না থাকার কারনে ঝড়েরের কবলে পরে টিনের ঘরটি বহু বার বিদ্ধস্ত হয়েছে। যা কোন মতে জোড়া তালি দিয়ে চলছে।  স্কুলটির চারিদিকে যাতায়াতের প্রায় ৫ কি:মি: মাটির রাস্তা বর্ষা মৌসুমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায় তাই কোমলমতি শিক্ষার্থরা চরম ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসে। তাই রাস্তাগুলো পাঁকা করা জরুরী প্রয়োজন এবং সীমানা প্রাচীর না থাকায় স্কুলটি রয়েছে সম্পূর্ণ অরক্ষিত। এলাকার শিক্ষার হার বৃদ্ধির জন্য স্কুলটির অবকাঠামো উন্নয়নসহ যোগাযোগের রাস্তা পাঁকা করার জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো.রফিকুল ইসলাম জানান, স্কুলটির পাকা ভবন নির্মাণ ও দ্রুত সংস্কারের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। স্কুলের সাথে যুক্ত সকল কাঁচা রাস্তাগুলো পাকায় উন্নিত করার জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশলীর কার্যালয়ে তালিকা পাঠানো হয়েছে। পর্যায় ক্রমে প্রতিটি স্কুলের নিরাপত্তার জন্য সীমানা প্রাচীর তৈরীর সরকারী নির্দেশনা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪:০০:৪৭ ● ৫৫৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ