ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥
আমদানি-রফতানি পণ্য পরিবহনে বাংলাদেশকে নির্ভর করতে হয় বিদেশি জাহাজের উপর। এতে জাহাজ ভাড়ার পেছনেই এক বছরে সরকারের ব্যয় হয় ২ হাজার ৪শ’ কোটি টাকা। এ কারণে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজের সংখ্যা বাড়াতে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জানান নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের জাহাজের বহরে বর্তমানে ৪৭টি জাহাজ রয়েছে। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের জাহাজ বহরে ২০৪১ সালের মধ্যে আরো মোট ৩২টি জাহাজ সংযোজন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ২টি প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার, ২টি মাদার ট্যাংকার, ১৮টি বাল্ক ক্যারিয়ার, ৬টি এলএনজি ক্যারিয়ার এবং ৪টি সেলুলার কনটেইনার।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজের সংখ্যা বাড়াতে উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে ৫ হাজার ডিডব্লিউটির ঊর্ধ্বে ধারণক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজ বাংলাদেশি পতাকায় রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে এনবিআর আরোপিত ভ্যাটের ১৫ শতাংশ মওকুফ করেছে। এ ছাড়া দেশের আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে সরকারিখাতে পরিবহন সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিএসসির মাধ্যমে স্বল্প মেয়াদে ২০২১ সালের মধ্যে ২টি নতুন মাদার ট্যাংকার এবং দু’টি নতুন ডিজেল পরিবহন উপযোগী প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার এবং দু’টি কয়লা পরিবহন উপযোগী মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার সংগ্রহের প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সদস্য আলী আজমের এক প্রশ্নের উত্তরে নৌ-প্রতিমন্ত্রী জানান, ঢাকার চারপার্শ্বের নদীগুলোর তীরভূমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা অপসারণ ও উদ্ধার, তীরভূমিসহ নদীর কিনারায় ওয়াল নির্মাণ, ওয়াকওয়ে নির্মাণ ও নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, নদীর তীরভূমি সংরক্ষণ ও পরিবেশ উন্নয়ন, নৌ-পথ ও নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নদীদূষণ রোধে নদী থেকে প্রায় ৮ লাখ ঘনফুট বর্জ্য/ময়লা অপসারণ করা হয়েছে। নৌযান থেকে নদীতে বর্জ্য না ফেলার জন্য নৌযানের শ্রমিক, মালিক ও যাত্রীদের নিয়মিত সতর্ক করাসহ তদারকি করা হচ্ছে। নিয়মিত মাইকিং করে নদীতে বর্জ্য না ফেলার অনুরোধ করা হচ্ছে। শিল্প কারখানা ও গৃহস্থালী বর্জ্য মুখ বন্ধ করা হয়েছে।
এফএন/এমআর