ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥
বিএনপি মহাসচিবের পদ হারানোর ভয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংসদ হিসেবে শপথ নিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খুলনা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। হানিফ বলেন, দুটি কারণে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ নিচ্ছেন না। এর একটি হচ্ছে যেই দলে কোনো গণতন্ত্র নেই, লন্ডন থেকে পরিচালিত হয়, সেই দলের বিরুদ্ধে গিয়ে শপথ নিলে পদ হারাবেন। মূলত পদ হারানোর ভয়েই মির্জা ফখরুল ইসলাম শপথ নেবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। আরেকটি কারণ হলো, বগুড়া থেকে নির্বাচিত হয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ওঁর নিজ এলাকার ভোটারদের প্রতি দায়বদ্ধ থাকলেও বগুড়ার ভোটার, এমনকি জনগণের প্রতি ওঁর কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তাই তিনি শপথ নিচ্ছেন না।
সম্প্রদি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সাংসদ হিসেবে শপথ নিয়েছেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপি নেতা জাহিদুর রহমান জাহিদ। এজন্য তাকে দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে জাহিদ ছাড়াও বিএনপির আরও পাঁচজন নেতা নির্বাচিত হন। তারা হলেন- বগুড়া-৬ আসনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে হারুনুর রশীদ, বগুড়া-৪ আসনে মোশাররফ হোসেন ও ব্রাক্ষণবাড়িয়া-২ আসনে উকিল আবদুস সাত্তার।
৩০ এপ্রিলের মধ্যে বিএনপির বাকি নির্বাচিতরা শপথ নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মাহবুব-উল আলম হানিফ। আমরা আশা করি আগামি ৩০ তারিখের মধ্যে বিএনপির বাকিরা শপথ নিয়ে জনগণের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করবেন। প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে শপথ নিয়ে সংসদে এসে কথা বলুন।
আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে প্রত্যেক জেলা উপজেলায় দলকে সুসংগঠিত করতে তাগিদ দেন হানিফ। সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর সংস্কারপন্থি কয়েকজন নেতার হাত ধরে গঠিত নতুন মঞ্চের সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান। তিনি বলেন, খোলস পাল্টে, অর্থাৎ জার্সি পাল্টে নতুনভাবে জামায়াত আসছে। এদের চরিত্র কিন্তু পরিবর্তন হবে না। এরা আওয়ামী লীগের মসৃন পথ রুদ্ধ করতে চাইবে। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন সিরাজ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম কামাল হোসেন, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুন অর রশিদ, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার মোহাম্মদ আবদুল খালেক, সাধারণ সম্পাদক মীজনুর রহমান বৈঠকে অংশ নেন।
এফএন/এমআর