ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥
কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রতিটি মানুষের নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। তিনি খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষি, স্বাস্থ্য, সমাজ কল্যাণ, পরিবেশ, পানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, মহিলা ও শিশু, শিল্প, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী শনিবার (২৭ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে খাদ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত পুষ্টি অলিম্পিয়ার্ডে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। খাদ্য সচিব শাহাবুদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ডেলিগেশনের প্রধান ও অ্যাম্বাসেডর মিজ রেঞ্জজতেরিংক ও সম্মানিত অতিথি জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদুর প্রসারি চিন্তার ফলশ্রুতিতে জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নয়নকে রাষ্ট্রের অন্যতম প্রাধিকার হিসেবে সংবিধানে উল্লেখ করা হয়েছে। কৃষি গবেষণার প্রায় সকল বড় বড় প্রতিষ্ঠানই তাঁর সৃষ্টি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশ খাদ্য উৎপাদনে বিশেষতঃ দানাদার জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, কৃষিকে আধুনিকায়ন এবং লাভজনক করার লক্ষ্যে সার, বীজ, সেচসহ কৃষি উপকরণ আরও সহজলভ্য করা হয়েছে। আবহাওয়া ও জলবায়ু সহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। জনগণের জীবনযাত্রার ক্রমাগত মানোন্নয়ন, আয় বৃদ্ধি ও খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের অবদান অপরিসীম। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচন ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং পুষ্টিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। এ অবদান প্রায় ৮ শতাংশ। প্রাণিজ আমিষের প্রায় ৯০ শতাংশ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপখাত থেকে আসে। তিনি বলেন, পরিবেশ উন্নয়ন, জীববৈচিত্র রক্ষা এবং বনভূমি সংরক্ষণ ও বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের ব্যাপক প্রসার ঘটাতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে।
বিগত সাড়ে ১০ বছরে বনভূমির পরিমাণ ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৭ শতাংশ হয়েছে। ২০২০ সালে দেশের বৃক্ষাচ্ছাদিত ভূমি শতকরা ২০ ভাগে উন্নীত করার লক্ষ্যে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এফএন/এমআর