ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥
বিএনপি থেকে দু’একজন চলে গেলেও দলের কোনো ক্ষতি হবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমানের শপথ নেওয়া প্রসঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শেরে বাংলানগরে জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের নতুন কমিটির নেতাদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন ড. খন্দকার মোশাররফ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বিএনপি হলো বটগাছের মতো। এর থেকে দুই-একটা পাতা ঝরে গেলে কিছুই যায় আসে না। দুই-একজন শপথ নিল কি নিল না, এটা এত বড় দলের জন্য কোনো বিষয় না। এতে দলের কোনো ক্ষতি হবে না। ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা ৩০০ জনকে মনোনয়ন দিয়েছিলাম। এরপর আমরা তাঁদের ওপর আস্থা রেখেছিলাম। তাঁরা আমাদের দলের প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন। এখন কী পরিবেশে, কোনো পরিস্থিতিতে তাঁরা সিদ্ধান্ত পাল্টাচ্ছেন এবং কেন তাঁরা দলীয় সিদ্ধান্ত মানছেন না, সেটা তাঁরাই বলতে পারবেন। কিন্তু আমাদের কাছে তা দুঃখজনক। দলীয়ভাবে গঠনতন্ত্র মোতাবেক তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
দলীয় আনুগত্যের বাইরে গিয়ে বিএনপির সাংসদ কেন শপথ নিচ্ছেনÑ এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমাদের অতীত ইতিহাসে এ রকম আছে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বরণের পরে হুদা মতিন এবং প্রেসিডেন্টের কেবিনেটের ডাকসাইটের মন্ত্রীরা বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা করেছিলেন, পারে নাই। এরপর ওয়ান ইলেভেনের সময় চেষ্টা করেছিল, সে সময় পারে নাই। অতএব দুই একজন শপথ নিল কি নিল না -এটা এত বড় দলের জন্য তেমন কোনো বিষয় না। ‘বিএনপিকে চাপে রাখা হচ্ছে না’- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে খন্দকার মোশাররফ বলেন, বিএনপিকে চাপে রাখার জন্যই আমাদের নেত্রীকে কারাগারে রাখা হয়েছে। জামিনযোগ্য মামলা হওয়া সত্ত্বেও একদিকে জামিন দিচ্ছে না, অন্যদিকে অন্য মামলা দিয়ে তাঁকে কারাগারে আটকে রাখা হচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিরোধী দলের ওপর প্রতিনিয়ত চাপ দিয়ে যাচ্ছে। এটা তো জনগণের কাছে পরিষ্কার। সুতরাং এটা জনগণই বিচার করবে যে, বিএনপিকে চাপে রাখা হচ্ছে কি হচ্ছে না। দেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, মাহফুজ উল্লাহকে হারিয়ে জাতির অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। এই ক্ষতি কী দিয়ে পূরণ হবে, তা আমি জানি না। পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের সময় তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক বাহা উদ্দিন বাহার, ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, আবদুল মতিন চৌধুরী, শেখ মো. ইউনুস, জাহাঙ্গীর আলম মিয়াজী, মো. সহিদ উল্লাহ, মো. গোলাম মাওলা খান বাবলু, মঞ্জুর মোরশেদ চৌধুরী, মো. বাশারুল আলম কামাল, মো. রেজাউল ইসলাম, ফয়েজ আহমেদ দৌলত, গোলাপ মঞ্জুর, জে এম আনিস, জাকির হোসেন লিটন, ফিরোজ কিবরিয়া, মুস্তাফা কামাল হাওলাদার, মো. ছিদ্দিক, ইছহাক আলী, কাজী মো. রেজাউল করিম, সাখাওয়াত হোসেন আশিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এফএন/এমআর