সাগরকন্যা ঢাকা অফিস ॥
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আবদুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে কেউ যেন ব্যক্তিগত সুবিধা নিতে না পারে সে ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু প্রেমিদের সজাগ থাকতে হবে। তিনি বলেন, এ ধরনের কাজের সাথে যদি কেউ জড়িত হন তাহলে তার বা তাদের সাথে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি হিসেবে আমার কোন সম্পর্ক নেই। ড. এ. কে. আবদুল মোমেন শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় গণগ্রন্থাগারের ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ‘বর্তমান সরকার মুজিবনগর সরকারের ধারাবাহিক সরকার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের ধারাবাহিক অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর শত্রুকেও সম্মান দিতেন। এজন্য তিনি আশা প্রকাশ করেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একে অন্যকে সম্মান করবে। ড. মোমেন বলেন, স্বাধীনতার চেতনা হলো সেই চেতনা যেখানে আমরা সহমর্মিতা সৃষ্টি করব। তিনি বলেন, আমরা যে পথে হাঁটছি, সে পথে হাঁটলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধুর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি বৈশিষ্ট্য। একটি হলো ন্যায্য অধিকারের জন্য সংগ্রাম এবং অপরটি হলো স্বাধীন সার্বভৌম দেশের জন্য সংগ্রাম ও বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাল কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘জেলখানার রোজনামচা’ গ্রন্থ দু’টি প্রকাশ করা এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্প্রতি বঙ্গবন্ধুর ওপর গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টগুলোও দু’টি পর্বে প্রকাশ করা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বইগুলো পড়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্থাপিত গণহত্যা কর্ণারে এ বইগুলো পাওয়া যাবে এবং সেখানে বইগুলো সকলে পড়তে পারবেন বলেও ড. মোমেন উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে উদযাপন করবে। তিনি বলেন, ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করব। বিদেশে বাংলাদেশের সব মিশনকে এ বিষয়ে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে। আমাদের দায়িত্ব হলো এ দু’বছর জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে জানা, বাংলাদেশকে জানা, বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্য সভা, সমিতি, ওয়ার্কশপ, কনসার্ট ও লেখালেখির মাধ্যমে জনগণকে জানানো। কারণ, বঙ্গবন্ধু এদেশে সৃষ্টি হয়েছিলেন বলেই আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের অধিকারী হয়েছি।
ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলের সহায়তায় আমরা অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা অর্জন করতে পারব এবং সম্মানিত জাতি হিসেবে বিশ্বে টিকে থাকব।
এফএন/কেএস